অ্যাডভোকেট আবুল বাশার আরজু আমার ল’ ইয়ারমেট।

অ্যাডভোকেট আবুল বাশার আরজু আমার ল' ইয়ারমেট।

অ্যাডভোকেট আবুল বাশার আরজু আমার ল’ ইয়ারমেট! এলএলবি ফাইনাল পরীক্ষায় পরীক্ষার হলে আমার সাথে তাঁর পরিচয়। পরবর্তীতে তিনি একটি দেওয়ানী ০২/২১ নম্বর মামলার বাদী হয়েছেন এবং উক্ত মামলাটি আমার সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট মরিয়ম বেগম চার বছরের বেশি সময় পরিচালনা করার পর বিগত ২৮/০৪/২০২৪ খ্রি. তারিখে মামলাটির রায় হওয়ার পর বিবাদীগণ আপিল করেন যাহা গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য পেন্ডিং আছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
অ্যাডভোকেট আবুল বাশার আরজু বিগত ২০১৯ সালে তার প্রতিবেশী সামছুল হক মাস্টারের নিকট থেকে ৩৮ শতক জমি ক্রয় করে আনরেজিস্ট্রি বায়না দলিল সম্পাদন করার পর রেজিষ্ট্রি দলিল সম্পাদনের পূর্বেই জমি বিক্রেতা সামছুল হক মাস্টার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার কারণে আবুল বাশার সাহেব সামছুল হক মাস্টারের বৈধ ওয়ারিশদের শরণাপন্ন হইলে ওয়ারিশগণ আবুল বাশারকে জমি রেজিস্টি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরবর্তীতে অস্বীকার করায় আবুল বাশার বিজ্ঞাদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির ফাইলিং লইয়ার আমার সহধর্মিণী আর আমি ছিলাম সহযোগিতায়। আমি বেশ কয়েকবার বাশার ভাইকে সিনিয়র আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি বলতেন, মামলায় হেরে গেলেও তিনি মরিয়ম বেগমকে দিয়েই মামলা পরিচালনা করাবেন। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই মামলার রায় হলো। বিবাদীরাও আপিল দায়ের করলেন।

গত দু’তিন দিন আগে জানা গেলো যে, বিবাদীগণ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াকে ব্যবহার করে অ্যাডভোকেট আবুল বাশারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে এই বলে যে, আবুল বাশার নাকি বিবাদীদের নিকট দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত কষ্টদায়ক লেগেছে।

তিনি যদি চাঁদা দাবি করার মতো মানুষ হতেন তবে তিনি আইনের আশ্রয় নিতেন না। চার বছরের বেশি সময় ধরে তিনি মামলা পরিচালনা করে অনেক টাকা ব্যয় করেছেন। তাছাড়া তিনি কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির একজন বিজ্ঞ সদস্য। তিনি আইনজীবী হিসেবে কোন রকম অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করেননি। ইচ্ছা করলে তিনি এমনটাও করতে পারতেন। “আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান” নীতি অবলম্বন করার পরেও তার বিরুদ্ধে এইরূপ প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানাই এবং যারা কোন সংবাদ যাচাই বাছাই না করে প্রচার করে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

সবাইকে ন্যায়-নীতির পক্ষে থাকার অনুরোধ করছি।