For Advertisement
আজকের আলোচনা বিষয়বস্তু যারা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কুমিল্লা থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
আজকের আলোচনা বিষয়বস্তু যারা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কুমিল্লা থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
আজকের আলোচনা বিষয়বস্তু যারা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কুমিল্লা থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
এবং লাইসেন্স গ্রহণের জন্য বিআরটিএ পরীক্ষা দিবেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ লেখা পড়ুন অনেক উপকারে আসবে। আশা করি এখানে যেভাবে বলা হয়েছে ঠিক সেইভাবে নিয়ম অনুসরণ করলে কোন প্রকারে বিভ্রান্ত অথবা হেনস্থা হতে হবে না। নিজে জানুন এবং আপনার বন্ধুদের জানাতে সহযোগিতা করুন।
শুরুতেই বলে রাখি সড়ক পরিবহন নতুন আইন অনুযায়ী যারা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করবে তার পরিবার যদি বিআরটিসি কার্যালয় আবেদন করে তাহলে মৃত্যুর জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা আর যদি কেউ মারাত্মক আহত হয় চিকিৎসার জন্য তিন লক্ষ টাকা প্রদান করবে বিআরটিসি।
প্রথমেই বলে রাখি বিআরটিএ পরীক্ষা চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ফিঙ্গার ও ছবি তোলা, লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। মনে রাখবেন আপনাকে একটা সিটে তিনবার সিগনেচার করতে হবে যদি এটা না করেন তাহলে ফেল আসবে।
ফিঙ্গার ও ছবি তোলা লোকেশনঃ ফিঙ্গার নেওয়া হয় বি আর টি এ কার্যালয় যেটা অবস্থিত কুমিল্লা ডিসি অফিস এর সাথে, কুমিল্লা ডিসি অফিস অর্থাৎ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কুমিল্লা গেট দিয়ে প্রবেশ করে ডানদিকের রাস্তা হয়ে একদম শেষ মাথায় ওখানে গেলে বিআরটিএ এর সাইনবোর্ড দেখা যাবে।ফিঙ্গার দেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার লার্নার এর রঙিন কপি এবং আপনি যেই সিম দিয়ে লার্নার আবেদন করেছেন ওই সিম সঙ্গে রাখতে হবে। ওই সিমে একটা ওটিপি যাবে যেটা সেখানে দিতে হবে যদি ওই সিম সাথে না আনেন তাহলে বের করে দিবে অথবা কিছুটা বিভ্রান্ত হতে হবে।
অবশ্যই খেয়াল রাখবেন শুধু সাদা কালারের কোন কিছু পরে আসবেন না তাহলে ছবি তুলতে সমস্যা হয় এর জন্য কিছুটা বিভ্রান্ত হতে হবে। ছবি তোলা ও ফিঙ্গার এর কাজ শেষ হলে আপনার সিগনেচার নেওয়া হবে এবং ওখানে আপনাকে ১০০ টাকা জমা দিতে হবে। ফিঙ্গার এর জন্য নির্ধারিত সময় দেওয়া থাকে সকাল ৮ টা থেকে কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ৭:৩০ অথবা ৭:৪৫ এর দিকে শুরু হয়ে যায়।
তবে সব থেকে ভালো আপনি আস্তে ধীরে সাড়ে আটটার পর অথবা ৯ টার দিকে গেলেও সমস্যা নাই। কারণ পরবর্তী ধাপ হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা যেটা সময়সূচী দেওয়া থাকলেও নির্ধারিত কোন সময় শুরু হয় না অনেক সময় দশটা অথবা ১১ টা বাজে শুরু হয়।
আপনি যখনই ফিঙ্গার এর জন্য লাইনে দাঁড়াবেন তখনই দেখবেন একদল দালালচক্র এসে আপনার কাছে বলবে ২০ টাকা দিয়ে একটা সিট নিতে যেখানে দুইটা পৃষ্ঠা থাকবে প্রশ্ন এবং কিছু সংকেত এবং এটাও বলবে যদি এটা না নেই তাহলে পরীক্ষায় ফেল দিবে। যাদের প্রয়োজন তারা নিবেন যদি না নেন কোন সমস্যা নাই আপনাদের বইয়ে সব কিছুই আছে।
দ্বিতীয় ধাপ লিখিত পরীক্ষা,,, লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল যেটা অবস্থিত পুরাতন চৌধুরী পাড়া। বিআরটিএ অফিস থেকে হেঁটে গেলে ১০ মিনিটের মত সময় লাগে। বি আর টি এ অফিসের সামনে থেকে কাউকে জিজ্ঞাসা করলে দেখিয়ে দিবে রাস্তা। ওখানে গিয়ে গেটের সামনে একজন লোক থাকবে উনি দেখিয়ে দিবে কোন রুমে পরীক্ষা হবে। হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর গেট দিয়ে প্রবেশ করলে ডান দিকের টিনশেডের একটা বড় রুম আছে ওইটাতে পরীক্ষা হবে।
পরীক্ষা আনুমানিক ১০ টা থেকে ১১ঃ০০ টার মধ্যে হবে অনেক সময় একটু দেরিও হতে পারে। পরীক্ষার শুরুতে একজন স্যার ১০ থেকে ১৫ মিনিট কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবে যা পরীক্ষার প্রশ্নে আছে। পরীক্ষা নির্ধারিত সময় ২০ মিনিট থাকলেও 5 থেকে 6 মিনিটের মধ্যে উত্তর দেওয়া যায়। তাই সকলেই চেষ্টা করবেন মনোযোগ দিয়ে স্যারের কথা শোনার জন্য।
লিখিত পরীক্ষা শেষ হলে আপনার লার্নার সহ খাতা নিয়ে যাবে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে বি আর টি এ কার্যালয় এর সামনে অর্থাৎ যেখানে আপনারা ফিঙ্গার দিয়েছেন। ফলাফল আনুমানিক 12:30 মিনিট থেকে ১ টার মধ্যে প্রকাশ করা হবে। ভাইভা পরীক্ষা আপনাদের ট্রাফিক সাইনগুলো শেখানো হয়েছে এগুলোর উপর ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ করে যেগুলো বাধ্যতামূলক না বোধক এগুলো থেকেই বেশি প্রশ্ন করা হয়।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সর্বোচ্চ গত সীমা ৪০, জাতীয় গতিসীমা ৪০, রাস্তার কাজ চলিতেছে, ডানে মোড় নিষেধ, বামে মোড় নিষেধ, ইউট্রান নিষেধ, হর্ন বাজানো নিষেধ, এবং কিছু সতর্কতামূলক সাইন থেকে প্রশ্ন করা হয়। ভাইভা পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়ার পর আনুমানিক ১:৩০ মিনিট অথবা দুইটা থেকে শুরু হবে।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিআরটিএ কার্যালয় এর সামনে থেকে আপনাদের লার্নার পুনরায় আপনাদেরকে দেওয়া হবে এই লার্নার নিয়ে ডিসি অফিসের দ্বিতীয় তলায় মুজিব কর্নার নামে একটা রুম আছে এর সামনে লাইনে দাঁড়াতে হবে।
যদি না চিনেন তাহলে ডিসি অফিসের যেকোনো কাউকে লাইসেন্সের ভাইবা কোথায় হয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলে দিবে। ডিসি অফিসের একদম সামনের যে গেট আছে ওই গেট দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠলে লাইন পেয়ে যাবেন আর যদি বিআরটিএ অফিসের সামনে জেগে আছে ওইখান দিয়ে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ওঠেন তাহলে সোজা গিয়ে হাতের বাম দিকে মোড় নিলে লাইন দেখতে পারবেন। যখন ভাইভা পরীক্ষা দিবেন তখন আপনার লার্নার এর উপর যদি উত্তীর্ণ হন তাহলে পাস লিখে দিবে আর যদি উত্তীর্ণ হতে না পারেন তাহলে ফেইল লিখে দিবে।
প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা,,, ভাইবা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর লার্নার নিয়ে ডিসি অফিস থেকে চলে আসবেন বিআরটিসি বাস ডিপো যেটার অবস্থান স্টেশন রোড কুমিল্লা রেল স্টেশন থেকে কিছুটা সামনে। বিআরটিসি এর সামনে গেলে গেটের বাইরে উত্তর পাশে একটা রুম দেখতে পারবেন।
ওই রুমে গিয়ে আপনার লার্নার দিবেন যদি গাড়ির জন্য লাইসেন্স করেন তাহলে ৩০০ টাকা নিবে আর যদি মোটরসাইকেল করেন তাহলে ১০০ টাকা নিবে, আর যারা মোটরসাইকেল এবং গাড়ি উভয় লাই চেঞ্জ করবেন তাদের থেকে ৪০০ টাকা করে নিবে এবং দুইটা টোকেন দিবে। মোটরসাইকেল এর টোকেন যখন মোটরসাইকেল চালাবেন তখন দিবেন আর গাড়ির টোকেন যখন গাড়ি চালাবেন তখন দিবেন তখন এর মধ্যে লেখা আছে কোনটা গাড়ির এবং মোটরসাইকেলের গাড়ির টোকেন ৩০০ টাকার মোটর সাইকেলের টোকেন ১০০ টাকা।
তখন কাটার পর বিআরটিসি গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করবেন প্রবেশ করার সময় মাঝে মাঝে আপনার লার্নার এবং মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড দেখতে চাইবে এগুলো দেখিয়ে ভিতরে প্রবেশ করবেন। ভেতরে প্রবেশ করার পর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল যেই গেট দিয়ে প্রবেশ করেছেন ঐ গেইট এর পাশ বরাবর যে দেওয়াল রয়েছে অর্থাৎ বিআরটিসি মাঠের পশ্চিম পাশের যে দেওয়াল আছে অথবা রাস্তার সাথে যে দেওয়া আছে অথবা যে পাশে বাসগুলো আছে অথবা একটা টিনশেডের সার্ভিসিং সেন্টার আছে ঠিক এর বিপরীত পাশ থেকে সিরিয়ালে দাঁড়াবেন অথবা বসবেন।
এর কারণ প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য আপনাকে কোন সিরিয়াল নাম্বার দেওয়া হবে না সেই ক্ষেত্রে যারা পশ্চিম কোনায় থাকে তাদের থেকে প্রথমে নেওয়া হয়। তাই যদি আগে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চান অবশ্যই পশ্চিম কোনায় যেভাবে হোক দাঁড়াবেন। তাহলে আশা করি সময় লাগবে না বেশি। যারা মোটরসাইকেল চালাতে পারেন না দয়া করে মোটরসাইকেলে উঠবেন না এবং যারা গাড়ি চালাতে পারেন না দয়া করে গাড়িতে উঠবেন না অপমানিত হবেন না।
যারা সফলভাবে সবগুলো তার সম্পন্ন করবেন বিশেষ করে প্র্যাকটিক্যাল ধাপ সম্পন্ন করবেন আপনাদের লার্নার ওরা রেখে দিবে। আপনি যদি উভয় লাইসেন্স করেন এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার আর ওখানে কোন কাজ নেই চলে আসতে হবে।
আর যদি আপনার লার্নার আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে বুঝবেন আপনি ফেইল করেছেন অথবা অন্য কোন সমস্যা। আর যারা নরমালি পাশ/ফেইল করে তাদের লার্নার রেখে দেয়।
For Advertisement
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য