সোমবার ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
For Advertisement
আমি আর কবিতা লিখবো না আমি এখন ইতিহাস লিখব, একটা যুগের ইতিহাস একটা জাতির ইতিহাস।
২ জুলাই, ২০২৪ ৮:২০:২৫
আমি আর কবিতা লিখবো না আমি এখন ইতিহাস লিখব, একটা যুগের ইতিহাস একটা জাতির ইতিহাস।
আমি আর কবিতা লিখবো না আমি এখন ইতিহাস লিখব, একটা যুগের ইতিহাস একটা জাতির ইতিহাস।
ইতিহাসের প্রথম পাতায় আমি কিছুই না লিখে ,সেখানে এক জোড়া জুতো এনে রেখে দেব। সেই জুতো, যে গুলো মানুষ চুরি হয়ে যাওয়া ভয়ে উপাসনা করার সময় উপাসনালয়ের ভিতরে নিয়ে রাখতে হয়। পরবর্তী প্রজন্ম এগুলো দেখেই বুঝতে পারবে আমাদের চরিত্র কেমন ছিল।
আমি গ্রামের বাজারে গিয়ে দশজন গিরস্তের কাছ থেকে দশ ফোঁটা দুধ কিনে এনে রেখে দেব এখানে। আমি জানি, রহস্য উদঘাটনের, জন্য মানুষ এগুলোকে রান্না করা শুরু করবে। অনেকক্ষণ রান্না করার পরও যখন এখান থেকে মালাই হবে না, দই মাখন হবে না, মানুষ তখন বুঝতে পারবে আমাদের বেচাকেনার মান কেমন ছিল ব্যবসায়ীক নৈতিকতা কেমন ছিল।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সুন্দর ও চাকচিক্যময় কিছু উপাসনালয়কে আমি রেখে দেব এর ভিতর। ইতিহাস পাঠকরা যখন দেখবে উপাসনালয় গুলো সোনা রুপা মোড়ানো, আর উপাসনালয়ের সামনে বসে থাকা ভিক্ষুকদের কারো মুখে খাবার নেই ,কারো গায়ে পোশাক নেই। পাটকরা তখন আমাদের ধর্মীয় জ্ঞান এবং গোড়ামী দুটো সম্বন্ধেই পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারবে।
আমি টাটকা নতুন কয়েকটা ১০০ টাকার নোট এনে ইতিহাস বইয়ের পাতার সাথে গেঁথে রেখে দেব। এটা দেখে পাঠকরা প্রথমে কিছু বুঝতে পারবে না, ভালো করে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখার পর তারা লক্ষ্য করবে যে ,প্রতিটি টাকার এক কোনে পোড়া। তখন তারা বুঝতে পারবে এগুলো দিয়ে যুবকরা নেশা করত।
আমি হাসপাতাল থেকে ইচ্ছে করে ফেলে দেওয়া কিছু ভ্রুন, খাল বিল জঙ্গল থেকে ফেলে দেওয়া নবজাতকের কিছু রক্ত মাংস হাড় এনে রেখে দেব এখানে। বইয়ের পাতা খুলতেই ওরা কান্না শুরু করে দেবে, ওরা চিৎকার করে বলবে আমরা নির্দোষ ছিলাম আমাদেরকে অন্যায় ভাবে হত্যা করেছিল ওরা। ওদের কথা শুনে জ্ঞানী মূর্খ সবাই আমাদের বর্বরতা সম্বন্ধে অনুমান করতে পারবে।
বন্দিসহ আস্ত একটা জেলখানা এনে আমি রেখে দেবো এর ভিতর। মানুষেরা যখন দেখবে এর ভিতর কোন অপরাধী নেই,আছে শুধু রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার এবং ক্ষমতাসীনদের চক্রান্তে স্বীকার কিছু নির অপরাধ মানুষ। তখন বুঝতে পারবে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল। কোন এক সুন্দরী বধুর সুন্দর হাতে লেখা একটা প্রেমের চিঠি এনে রেখে দেবো এখানে। চিঠির ভাষায় মানুষ আবেগ আপ্লুত হয়ে যাবে, তবে চিঠির ঠিকানা দেখার পর সবাই হতভম্ব হয়ে যাবে। মানুষ যখন দেখবে এ চিঠি বধু তার।
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
For Advertisement
সম্পাদক : কাজী মোঃ সাইফুল ইসলাম
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : জাগুরঝুলি বিশ্ব রোড, আদর্শ সদর, কুমিল্লা ৩৫০০.
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : জাগুরঝুলি বিশ্ব রোড, আদর্শ সদর, কুমিল্লা ৩৫০০.
+880 1710-818277
+880 0161812800
ইমেইল : cumillavoice20@gmail.com
+880 0161812800
ইমেইল : cumillavoice20@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য