For Advertisement
একটি চিঠি যাকে বানিয়েছে জিনিয়াস।

এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি গল্প অনেক কিছু শিখার এবং বোঝার আছে পুরো পড়লে বুঝতে পরবেন সবাই ।
টমাস এডিসন বা টমাস আলভা এডিসনকে কে না চেনেন। একজন সফল মার্কিন উদ্ভাবক ও ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কারের জন্য আমরা তাকে এক নামে চিনি। কেবল এটিই নয়, এই সফল ব্যক্তি গ্রামোফোন, ভিডিও ক্যামেরাসহ বহু যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা বিংশ শতাব্দীর জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।
একজন সত্যিকারের জিনিয়াস হিসেবে পরিচিত টমাস এডিসন। তবে জীবনের প্রারম্ভিক পর্যায়ে তার জন্য চারপাশের পরিবেশ সুখকর ছিল না মোটেও। বিদ্রূপের শিকার হতে হয়েছে পদে পদে। এমনকি স্কুলে পড়াশোনাও মাত্র ৩ মাস করতে পেরেছিলেন তিনি। তাহলে কীভাবে জিনিয়াস হলেন টমাস? এর পেছনে রয়েছে করুণ এক গল্প। যেভাবে টমাসের মায়ের চিঠি তাকে জিনিয়াস বানায়।
একদিন ছোট্ট শিশু টমাস স্কুল থেকে ফিরল। হাতে একটি চিরকুট। মায়ের দিকে সেটি এগিয়ে টমাস জানালেন, ‘স্কুলের শিক্ষক এটা দিয়েছেন। শুধু তোমাকে পড়তে বলেছেন। শিশুটির চোখ ভর্তি জল। টমাসের মা চিরকুটটি খুলে পড়ে শোনালেন- ‘আপনার ছেলে একজন জিনিয়াস। এই স্কুলটি তার জন্য সঠিক জায়গা নয়। তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কোনো দক্ষ শিক্ষক নেই। সুতরাং, দয়া করে তাকে নিজেই প্রশিক্ষণ দিন।’ সেদিনই ছিল টমাসের স্কুলজীবনের শেষ দিন। এরপর তিনি মায়ের কাছে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনা, লেখালেখি, পাটিগণিত সবকিছুই শেখেন মায়ের থেকে। পরবর্তীতে তার মা একজন শিক্ষক রেখেছিলেন তার জন্য। মাত্র তিন মাস স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন টমাস। তার জন্য এই অল্প সময়ই ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ে তিনি নানা জিনিস আবিষ্কার করেছিলেন। পদার্থবিজ্ঞান আর অংকের প্রতিও আগ্রহ খুঁজে পেয়েছিলেন।
অনেক বছর পরের কথা। টমাসের মা তখন আর এই পৃথিবীতে নেই। ততদিনে টমাস এডিসন হয়ে গেছেন শতাব্দীর অন্যতম সেরা আবিষ্কারক। একদিন আলমারি গোছাতে গিয়ে তিনি একটি চিঠি খুঁজে পান। এটি সেই চিঠি যা শৈশবে স্কুলের শিক্ষক তার মাকে লিখেছিলেন। টমাস চিঠিটি খুললেন। অবাক হয়ে গেলেন তিনি। কারণ, চিঠিতে লেখা, স্কুল আপনার ছেলের আর ক্লাস নিতে আগ্রহী নয়। সে মানসিক প্রতিবন্ধী। তাকে গ্রামে পাঠিয়ে দিন। চিঠিটি পড়ে আবেগপ্রবণ হয়ে গেলেন টমাস। বুঝলেন, সেদিন মা তাকে মিথ্যা পড়ে শুনিয়েছিলেন। এরপর তিনি তার ডায়েরিতে লিখলেন, ‘টমাস এডিসন ছিলেন একজন মানসিকভাবে দুর্বল শিশু। যার মা তাকে শতাব্দীর সেরা জিনিয়াস বানিয়েছেন ।
১৯১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর ঘটনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ওয়েস্ট অরেঞ্জে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। কিংবদন্তি উদ্ভাবক এডিসন একটি কারখানায় ১০ টি ভবনের মালিক ছিলেন। তিনি আগুনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের ছয় থেকে আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেলেও রাসায়নিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। যতটা সম্ভব চেষ্টা করার পরে, এডিসন শান্তভাবে সেখানে দাঁড়িয়ে আগুনের ধ্বংসলীলা দেখছিলেন। তার সারা জীবনের কঠোর পরিশ্রম চোখের সামনে ঝলসে যেতে দেখলেন । টমাসের ২৪ বছরের ছেলে চার্লস এসে তার পাশে দাঁড়ালেন। শিশুর মতো কণ্ঠে এডিসন তার ছেলেকে বললেন, চার্লি, যাও তোমার মা এবং বন্ধুদের নিয়ে এসো। তারা তাদের সারাজীবনে আগুনের এমন দর্শনীয় দৃশ্য দেখতে সক্ষম হবে না ।
বাবার জবাবে বিস্মিত ও হতবাক হলো চার্লস। বাবার উদ্দেশ্যে বলল, ‘আমাদের পুরো কারখানা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে বাবা। টমাস এডিসন সম্পূর্ণ দৃঢ়তার সাথে উত্তর দিলেন ‘হ্যাঁ, আমাদের কারখানা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। কারখানায় আমরা এতদিন যত ভুল করেছি তাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা আগামীকাল আবার নতুন করে সব শুরু করবো । পরদিন ছেলেকে নিয়ে ৬৭ বছর বয়সী টমাস সত্যিই আবার নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আজও ইতিহাসের পাতায় সফল ব্যক্তিদের কাতারে প্রথম সারিতে আছেন তিনি। আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। নিজেকে ব্যর্থ ধরে নিই। কিন্তু ধৈর্য ধরলে জীবনে সফলতা আসবেই। তাই কাজে লেগে থাকুন। ব্যর্থতাকে সফলতায় রূপান্তরিত করুন ।
গুরুত্বপূর্ণ এরকম পোস্ট পেতে সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকুন প্লিজ ।
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
For Advertisement
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : জাগুরঝুলি বিশ্ব রোড, আদর্শ সদর, কুমিল্লা ৩৫০০.
+880 0161812800
ইমেইল : cumillavoice20@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য