শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
For Advertisement
কথা হজম করতে শিখুন, এটা অনেক বড় গুণ- আপনাকে জিততে সহায়তা করবে।
২৬ জুন, ২০২৪ ১০:১৪:৪৪

কথা হজম করতে শিখুন, এটা অনেক বড় গুণ- আপনাকে জিততে সহায়তা করবে! কথা না বাড়িয়ে নীরবে কাজ করে যান; আপনার কাজই আপনার হয়ে কথা বলবে।
মন খারাপের কারণ অতীত আর টেনশন-এর কারণ ভবিষ্যৎ। তারচেয়ে বরং বর্তমানকে উপভোগ করুন; আনন্দে বাঁচুন! ঠেকতে ঠেকতে সোজা সরল ভালো মানুষটিও বুঝে যায়- কে তাকে সত্যিকারের ভালোবাসে আর কে তাকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে? আপনার সামনে যিনি আপনার প্রশংসা আর অন্যের সমালোচনা করেন, একটু পরেই তিনি অন্যের কাছে আপনাকে নিয়ে একই কাজ করবেন!
পরম সমালোচনাকারী হচ্ছে- যিনি প্রতিনিয়ত আপনাকে আর্শীবাদ করেন ‘একজন’ হয়ে উঠার জন্য…! সমালোকেরা নিঃসন্দেহে আপনার ভালো বন্ধু- বিনা পয়সায় ভুল ধরিয়ে দিতে সর্বদা তৎপর থাকেন… তাঁদের কখনোই অবহেলা করবেন না! আপনি বরং বিনয়ী হোন, মানুষকে সম্মান করুন ও গুরুত্ব দিন; সবকিছু বহুগুণ হয়ে আপনার কাছেই ফেরত আসবে!
কেউ যদি আমায় ঈর্ষা করে, আমি খুবই খুশি হই। কারণ আমি বুঝতে পারি যে, আমি সঠিক কাজটাই করছি! আপনার কাজ বা কথা নিয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করল না, তার মানে আপনি সঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারেননি!! মানুষের জনপ্রিয়তার মাত্রা নির্গত হওয়া উচিত তার শত্রু ও সমালোচকের সংখ্যার ভিত্তিতে!!!
জিততে হলে কখনো কখনো হারতে হয়। আজকের হারই হয়ত ভবিষ্যতে বড় বিজয় এনে দেবে। কখনো বোকার সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না- এটা সময়ের অপচয়! সম্ভব হলে আপনি অন্যদেরকে জিতিয়ে দিন, জিতে গেছে ভেবে কেউ যদি খুশি হয়, আপনিও নীরবে একটুখানি হেসে নিন। অন্যের সুখে সুখী হতে পারলে আপনিই মহাসুখী!
চিতা বাঘ কখনো কুকুরের সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করে না। আপনি যে চিতা বাঘ তা বোঝানোর জন্য শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষায় থাকুন। হয়ত অনেক কিছু পারেন; তবে দরকার নেই তা বলে বেড়ানোর। নীরবে কাজ করে যান… যার প্রয়োজন তিনি আপনাকে ঠিকই খুঁজে নেবেন। তবে অযোগ্য কাউকে টেনে উপরে তুললে সে-ই এক সময় উল্টো আপনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিশোধ নেবে!
আপনি দুনিয়ার কাউকে বদলাতে পারবেন না, শুধু নিজেকে ছাড়া। আপাতত সেটাই করুন- নিজেকে বদলে ফেলুন; আর অন্তত দুজন অসহায় মানুষকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করুন। সবাই এই নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে কাজ করলে চারপাশের দুনিয়া এমনিতেই বদলে যাবে!
আপনার চিন্তা-ভাবনার ওপরে যারা আস্থা রাখতে পারে না, তাদেরকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন- এটাই আপনাকে সবার মাঝে বিশ্বাসী ও আস্থাভাজন করে তুলবে; স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। জীবনের পরীক্ষায় অনেকেই হেরে যান কারণ তারা অন্যকে copy করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাদের আসলে জানা নেই- প্রত্যেকের প্রশ্নপত্রটাই আলাদা! কোথায় জন্মেছেন- সেটা আপনার নিয়তি; কোথায় পৌঁছাবেন- সেটা আপনার কর্মফল!
আজকে থেকে ঠিক ৯৯৯ দিন পরে আপনার অবস্থান কোথায় হবে- সবকিছুই নির্ভর করছে এখন কাদের সঙ্গে মিশছেন আর কী কী বই পড়ছেন, তার ওপর! কোনো কথা শোনামাত্রই যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না। কেননা মিথ্যা কথা সব সময়ই সত্যের চাইতেও তীব্রতর। প্রমাণের ঝামেলা নেই বলে মিথ্যে কথা ও গুজব দ্বিগুণ গতিতে ছোটে। কিন্তু সত্যটা প্রমাণ করতে যথেষ্ট সময়ক্ষেপণ ও বেগ পেতে হয়!
জীবনটা বড্ড ক্ষণস্থায়ী, ভালো করারই সময় কম। মন্দ কাজ করার সুযোগ কই? ভালো মানুষ সাজার ভান না করে ভালো মানুষ হয়ে গেলেই তো হয়! আপনার স্বপ্ন নিয়ে কেউ যদি হাসা-হাসিই না করে, তবে বুঝে নেবেন- লক্ষ্যটা খুব ছোট হয়ে গেছে! আবার স্বপ্ন পূরণে বেশি কালক্ষেপণ করলে অন্য কেউ সেটা বাস্তবায়ন করে নিজের বলে চালিয়ে দিতে পারে! তবে যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের শুরুতেই অন্যের সহযোগিতা নিতে হয় অর্থাৎ নিজে এগিয়ে নিতে পারেন না- সেই স্বপ্ন দেখবেন না।
কেউ কেউ ইতিহাস গড়েন, বাকিরা সেই ইতিহাস পড়ে পরীক্ষায় পাস করেন! বিখ্যাত মানুষের সঙ্গে সেলফি তুলে পোস্ট না দিয়ে এমন কাজ করুন, যাতে অন্যেরা আপনার সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক গণমাধ্যমে পোস্ট করে। মানুষ মাটি দিয়ে তৈরি, মাটিজাত খাবার খেয়ে বাঁচে, মৃত্যুর পরে আবার মাটিতেই মিশে যাবে; তার কি অহংকার ও রাগ করা সাজে? মানুষের গ্রহণযোগ্যতা কখনো ফেসবুক-এ লাইক-এর সংখ্যা দিয়ে যাচাই করা যায় না; মৃত্যুর পর উনার জানাজায় ক’জন হাজির হলেন- সেটাও দেখার বিষয়!
সুস্থ দেহ+প্রশান্ত মন = উপভোগ্য জীবন। শরীরের সুস্থতার জন্য চাই পরিমিত খাদ্যাভ্যাস আর মনের প্রশান্তির জন্য চাই রুচিশীল পাঠ্যাভ্যাস।
জ্ঞানীরা বলেন কেননা তাঁদের কাছে বলার মতো কিছু কথা আছে; আর মূর্খরা বলেন কেননা তাদেরও কিছু বলতে ইচ্ছে করে! কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার আগে অন্তত তাঁর সমান যোগ্যতা অর্জন করে নিতে হয়!
যে কাজের জন্য বিবেক প্রশ্নবিদ্ধ করে, সে কাজ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। যা কিছু পেয়েছেন, তার জন্য শুকরিয়া আদায় করুন, ধৈর্যধারণ করুন ভবিষ্যতে আরো ভালো দিন আসবে! প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মাঝে যে সমন্বয় ঘটাতে পারে, সে-ই প্রকৃত সুখী। হবে না, পারবো না, আমার কপালে নেই কথাগুলো প্রায়ই বলে থাকি। কিন্তু মজার ব্যাপার- নিজেকে জিজ্ঞেস করলে যে উত্তর পাওয়া যাবে, তা কিন্তু একেবারেই উল্টো। আমি পারবো, আমাকে দিয়েই হবে- এই শক্তি অন্তরে লুকিয়ে থাকে, জীবন যুদ্ধে শক্ত হাতে হাল ধরতে পারাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নেতিবাচক ভাবনার টানুন ইতি, বেড়ে যাবে জীবনের গতি!
মস্তিষ্ক কখনো অলস সময় কাটাতে পারে না, সর্বক্ষণ কিছু না কিছু চিন্তা করবেই। মজার ব্যাপার হলো- আপনি যখনি আগের চিন্তা ডাউনলোড করে ফেলবেন (অর্থাৎ কাগজ-কলম নিয়ে লিখে ফেলবেন এবং কাজে প্রয়োগ করবেন), মস্তিষ্ক কেবলমাত্র তখনি নতুন কিছু ভাববার সুযোগ পায়, নচেৎ আগের চিন্তাটাই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। কোনো একটা চিন্তা কাজে পরিণত না করে মাথায় নিয়ে বসে থাকলে নতুন চিন্তা মাথায় আসে না (ঢোকার জায়গা পায় না) কোনো পরিকল্পনাই গ্রহণযোগ্য নয়, যতক্ষণ না সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে! তাই মাথায় যত বুদ্ধি আসে, যত দ্রুত সম্ভব কাজে লাগান; হয় লাভ হবে নইলে অভিজ্ঞতা হবে! অর্জন হিসেবে কোনোটাই মন্দ নয়।
পৃথিবীতে এমন কোনো কাজ নেই- যা করলে জীবন ব্যর্থ হয়। জীবন এতই বড় ব্যাপার যে একে ব্যর্থ করা খুবই কঠিন! যারা কোনোকালেই কিছু করবে না- তারাই কেবল বলে অসম্ভব। এ জগতে মানুষের কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই থাকতে পারে না। এ পৃথিবীতে অসম্ভব বলে যদি কিছু থাকে, সেটা আছে কেবল মূর্খ ও অলসদের অভিধানে!
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
For Advertisement
সম্পাদক : কাজী মোঃ সাইফুল ইসলাম
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : জাগুরঝুলি বিশ্ব রোড, আদর্শ সদর, কুমিল্লা ৩৫০০.
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : জাগুরঝুলি বিশ্ব রোড, আদর্শ সদর, কুমিল্লা ৩৫০০.
+880 1710-818277
+880 0161812800
ইমেইল : cumillavoice20@gmail.com
+880 0161812800
ইমেইল : cumillavoice20@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য