প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

For Advertisement

কেএমপি’র হরিণটানা থানা পুলিশের অভিযানে চোরাই নগদ অর্থ ৮,৯৫,০০০/-টাকা উদ্ধারপূর্বক  ০১ (এক) জন আসামী গ্রেফতার।

৬ এপ্রিল ২০২৪, ১:০৪:৪৬

কেএমপি’র হরিণটানা থানা পুলিশের অভিযানে চোরাই নগদ অর্থ ৮,৯৫,০০০/-টাকা উদ্ধারপূর্বক  ০১ (এক) জন আসামী গ্রেফতার।

কেএমপি’র হরিণটানা থানা পুলিশের অভিযানে চোরাই নগদ অর্থ ৮,৯৫,০০০/-টাকা উদ্ধারপূর্বক  ০১ (এক) জন আসামী গ্রেফতার।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজী ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক ড.এস.এম. ফিরোজ গত ১২ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা হতে দুপুর ১২.৩০ ঘটিকায় পাঁচটি এ্যাকাউন্ট হতে সর্বমোট ৮,৯৫,০০০/-(আট লক্ষ পচানব্বই হাজার টাকা) উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে তিনি দুপুর ০১.১০ ঘটিকায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং একাডেমি ভবনে রুম নং-২২৬০ তে তার নিজস্ব রুমে গিয়ে উত্তোলনকৃত ৮,৯৫,০০০/-(আট লক্ষ পচানব্বই হাজার টাকা) ব্যাগসহ চেয়ারের উপরে রেখে রুমের বাহিরে করিডরে ওজু করতে যান। অতঃপর আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত ব্যাগের কাছে এসে ব্যাগের চেন খোলা অবস্থায় পান। ব্যাগের ভিতর উঁকি দেখেন ব্যাগে রক্ষিত সমুদয় টাকা গায়েব হয়ে গেছে। তার বুঝতে বাকী থাকে না, ঘটনাটি কি ঘটেছে। অতঃপর তিনি দ্রুততার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখতে যান। সেখানে তিনি সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখতে পান যে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি কিছু একটা নিয়ে দৌড়ে মেইন গেট দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে। তিনি দিশেহারা অবস্থায় আশেপাশে খোঁজ করতে থাকেন। অতঃপর কোন কূল কিনারা না পেয়ে উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে  হরিণটানা থানার মামলা নং-১০, তারিখ-১৩/০৩/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড সংক্রান্তে অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে কেএমপি’র হরিণটানা থানা পুলিশ একটি চৌকস টিম গঠন করে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে থাকে। পরবর্তীতে হরিণটানা থানা পুলিশ সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে পর্যালোচনা করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভ্যাসগত ও পেশাদার চোর চক্রের তথ্য সংগ্রহ করে সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের সাথে একজন ব্যক্তির মিল পেয়ে দিঘলিয়া থানাধীন পানিগাতী গ্রামে স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ০১) মোঃ টিটন খান (৩৫), পিতা-মোঃ হারুন খান, সাং-পানিগাতী, পশ্চিমপাড়া, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনা’কে চোরাই নগদ অর্থ ৮,৯৫,০০০/-(আট লক্ষ পচানব্বই হাজার) টাকাসহ ৩০/০৩/২০২৪ খ্রি. বিকালবেলা গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী জানায় যে সে অভ্যাসগত চোর। সে মূলত রেগুলার বিভিন্ন ব্যাংক কম্পাউন্ডে ঘোরাফেরা করে। একাউন্ট থেকে কেউ টাকা উত্তোলন করলেই সে তাকে নিবিড়ভাবে অনুসরণ করতে থাকে। টাকা উত্তোলনকারীর অসাবধনতার সুযোগ নিয়ে সে চুরি সম্পাদন করে। এটাই তার পেশা। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চুরিটিও সে নিজেই করেছে। চুরি করার পরের দিন টাকাগুলো সে তার নিজের ব্যাংক একাউন্টে জমা রেখেছিল। পরবর্তীতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে টাকাগুলো উত্তোলন করলে পুলিশ টের পেয়ে যায়। টাকাগুলো খরচ করার পূর্বেই সে নগদ অর্থসহ পুলিশের গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথানিয়মে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উক্ত গ্রেফতারকৃত আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যর বিরুদ্ধে ১) খুলনা এর দিঘলিয়া থানার মামলা নং-১১, তারিখ-২৬/০১/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৪৬১/৩৮০ পেনাল কোড; ২) খুলনা এর দিঘলিয়া থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-১৫/১০/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৩৮০/৪৫৭ পেনাল কোড; ৩) খুলনা এর পাইকগাছা থানার মামলা নং-১৩, তারিখ-১২/০১/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড এবং ৪) বাগেরহাট এর রামপাল থানার মামলা নং-৪, তারিখ-০৫/০৫/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোডে মামলা রয়েছে।

For Advertisement

Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য