For Advertisement
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
৪ জুলাই ২০২৪, ৯:২২:০২
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে’ আছি, নাহি ভরসা। রাশি রাশি ভরা ভরা ধান কাটা হ’ল সারা, ভরা নদী ক্ষুরধারা খর-পরশা। কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।
একখানি ছোট ক্ষেত আমি একেলা, চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা। পরপারে দেখি আঁকা, তরুছায়ামসীমাখা গ্রামখানি মেঘে ঢাকা প্রভাত বেলা। এ পারেতে ছোট ক্ষেত আমি একেলা।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে! দেখে’ যেন মনে হয় চিনি উহারে। ভরা-পালে চলে যায়, কোন দিকে নাহি চায়, ঢেউগুলি নিরুপায় ভাঙ্গে দু’ধারে, দেখে’ যেন মনে হয় চিনি উহারে! ওগো তুমি কোথা যাও কোন্ বিদেশে! বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে! যেয়ো যেথা যেতে চাও, যারে খুসি তারে দাও
শুধু তুমি নিয়ে যাও, ক্ষণিক হেসে, আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।
যত চাও তত লও তরণী পরে। আর আছে?—আর নাই, দিয়েছি ভরে, এতকাল নদীকূলে যাহা লয়ে ছিনু ভুলে’ সকলি দিলাম তুলে থরে বিথরে, এখন আমারে লহ করুণা করে’! ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই! ছােট সে তরী, আমারি সােনার ধানে গিয়েছে ভরি। শ্রাবণ গগন ঘিরে, ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে, শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি’, যাহা ছিল নিয়ে গেল সােনার তরী। সোনার তরী– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
For Advertisement
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
© Cumillar Voice ২০২৪ - Developed by RL IT BD
মন্তব্য