প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

For Advertisement

চুনারঘাট উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিদর্শিকা সোহানা খাতুন ও মিডওয়াইফ সীমা’র বিরুদ্ধে গর্ভবতী মায়েদের চাপে ফেলে ঘোষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে।

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:২৯:৩৮

চুনারঘাট উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিদর্শিকা সোহানা খাতুন ও মিডওয়াইফ সীমা’র বিরুদ্ধে গর্ভবতী মায়েদের চাপে ফেলে ঘোষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে।

দুর্নীতি চলছে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা নরমাল ডেলিভারি কে কেন্দ্র করে চুনারঘাট উপজেলার সাটিয়া জুড়ি মডেল পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিদর্শিকা সোহানা খাতুন ও মিডওয়াইফ সীমা’র বিরুদ্ধে গর্ভবতী মায়েদের চাপে ফেলে ঘোষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে ।

চুনারুঘাট গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারিতেই চলছে দুর্নীতি চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী মডেল পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারিতে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন মডেল পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সোহানা খাতুন ও মিডওয়াইফ সীমা ভট্টাচার্য যোগদানের পর থেকে উৎকোচ গ্রহন ও নানা অনিয়ম দেখা দিয়েছে। স¤প্রতি তারা পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্র আসা প্রসূতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারি করাতে অনৈতিক ভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। নরমাল ডেলিভারির রোগীদের চিকিৎসকের তথ্যাবধানে সুস্থ্য স্বাভাবিক অবস্থার তথ্য থাকলেও নিরাপত্তা, ভরসায় স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ভোগী প্রসূতি পরিবার সেখানে গেলে নানাভাবে মানুষিক বিপর্যয়ে ফেলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সোহানা ও সীমা ভট্টাচার্য। তাদের চাহিদা মতো না হলে সহায়তা না করে অপারেশনের (সিজারের) জন্য তুলে দেন দালাল চক্রের হাতে ।

ভুক্তভোগী বাহুবল উপজেলার ফিরোজ মিয়া জানান, বিগত ২৬ মে তার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা উঠলে ভোরবেলা উক্ত পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসলে পরিদর্শিকা সোহানা খাতুন প্রাথমিক ভাবে দেখে মাতৃগর্ভে শিশু মাথা চেপ্টে আছে। শুকনায় পরেছে, জানে দুর্বল। বাচ্চা বাঁচবে কি না মরবে গ্যারান্টি নাই। সিজারের অবস্থায় ফেলে মানসিক ভাবে প্রসূতি পরিবারকে বিপর্যয় ফেলেন। ভুক্তভোগী গরীব ও আর্থিক অসচ্ছল হওয়ায় নিরুপায় হয়ে মৃত্যুর দায় নিয়ে ডেলিভারি করতে রাজি হলে দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে খুব স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়। এবং তাদের (ধাত্রী) চাহিদা মতে মিষ্টি আপেলের জন্য তিন হাজার টাকা দিলে বেরসিক ভাবে চাপ দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করলে তারা দারদেনা করে টাকা দিতে বাধ্য হয়। তারও কিছুদিন পূর্বে কাজিরখিলের রাবিয়া নামে প্রসূতির মৃত বাচ্চা ডেলিভারি শেষেও পাঁচ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করেন ।

একইভাবে সাদিয়া শেখ শেফা নামের আরেক ভুক্তভোগী প্রসূতি, বিসিএস গাইনী বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার নওরিনের তথ্যাবধানে থেকে স্বাভাবিক রিপোর্টে ফ্রি নরমাল ডেলিভারি সেবা পেতে এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে গেলে তাঁদেরকেও একই কায়দায় মানসিক ভাবে বেকায়দায় ফেলে ব্যাথারত অবস্থায় আরও ৩/৪ জনের ডেলিভারি করিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন তারা। অপেক্ষা শেষে শেফার ডেলিভারি করালে মিষ্টির টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে ২ হাজার টাকা দিলেও তাদের কুরুচিপূর্ণ আচরণে বাকবিতন্ডা শেষে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আসতে বাধ্য হয় ভুক্তভোগী পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হোসেন, শাহিন হোসেন ও তাজুল ইসলামসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্র সম্পূর্ণ বিনা খরচায় নরমাল ডেলিভারি করার কথা থাকলেও মিডওয়াইফ পরিবার কল্যান পরিদর্শকা সোহানা খাতুন ও সীমা ভট্টাচার্য অলিখিত চুক্তি করে প্রসূতি মায়েদের অর্থের বিনিময়ে নরমাল ডেলিভারি করান ।

কেউ তাকে টাকা দিতে না চাইলে তিনি আতঙ্কিত পরামর্শসহ সিজারের পরামর্শ দেন। এ ছাড়াও সরকারি ঔষধ নয়ছয়সহ খেয়াল খুশিমতো পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠছেন। সেবাপ্রত্যাশীরা তার নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বরখাস্ত সহ শাস্তির দাবি করেন।অভিযোগের সত্যতা জানতে মিডওয়াইফ সীমা ভট্টাচার্যের সাথে কথা হলে তিনি দাবি করেন তারা মাসে প্রায় শতাধিক নরমাল ডেলিভারি করে থাকেন। বিনামূল্যে নাকি টাকার বিনিময়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফ্রি ডেলিভারি করানো হয়ে থাকে। কিন্তু টাকা নেয়ার অভিযোগ তুললে তিনি বলেন সুবিধা ভোগীদের অনেকেই আড়াই তিন হাজার টাকাও দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সালমান ফার্সিকে অবগত ও অভিযোগ তুলে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন ।

For Advertisement

Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য