For Advertisement
পুলিশ তৃষ্ণা আত্মহত্যা করেছে বলে যেই ছবি দেখিয়েছে এই ছবি দেখে একমাত্র পাগল ছাড়া কেউ বলবে না যে এভাবে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে।

তৃষ্ণা বিশ্বাস এর ফ্যামেলির সাথে কথা হলো।
পটুয়াখালী থানা থেকে সকাল ৮.৩০ এ মাদারীপুরে কল করে তৃষ্ণার মাকে জানানো হয় যে তৃষ্ণা আত্মহত্যা করেছে। অথচ সকাল ৭ টায় তৃষ্ণার সাথে তার মামার কথা হয়, যেই মামা বিজিবিতে কর্মরত। তৃষ্ণা তার মামাকে কল করে অনুরোধ করে যতো দ্রুত সম্ভব তৃষ্ণাকে পটুয়াখালী থেকে ট্রান্সফার করে অন্য কোথাও পাঠানোর জন্য। কারণ তৃষ্ণা এখানে নিরাপদ বোধ করছে না।
মামার কল রাখার দের ঘন্টা পরেই তৃষ্ণার মাকে জানানো হয় তৃষ্ণার মৃত্যুর সংবাদ। আজকে সারাদিন তৃষ্ণার পরিবার চেষ্টা করেও তৃষ্ণার পোষ্টমর্টেম করাতে পারেনি, তৃষ্ণার লাশ তারা বুঝে পায়নি৷ বলা হচ্ছে এই মামলার দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত এসআই পারমিশন না দিলে লাশ দেয়া যাবেনা। এসআইকে বারবার অনুরোধ করার পরেও এসআই বলছে উপরের আদেশ ছাড়া লাশ পোষ্ট মর্টেম বা হস্তান্তর করা যাবেনা ।
তৃষ্ণার পরিবার এখনো অপেক্ষায় লাশ বুঝে পাবার। তৃষ্ণার আত্মহত্যার কারণ হিসেবে পুলিশ বলছে তৃষ্ণার মানসিক সমস্যা ছিলো৷ কিন্তু তৃষ্ণার পরিবার জানায় তারা কোনদিন তৃষ্ণার মানসিক সমস্যা দেখেনি। কোনদিন তৃষ্ণাও কাউকে এমনটা বলেনি। এবং তৃষ্ণা মারা যাবার আগের রাতেও তার এক কাজিন যিনি নার্সিং এর সাথে যুক্ত তার সাথে দের ঘন্টা বিভিন্ন ব্যাপারে কথা বলেছে। পটুয়াখালীতে সে অনিরাপদবোধ করছে এটা জানিয়েছে। এবং খুব স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলেছে। কেউ কোনদিন তৃষ্ণার মধ্যে কোন রকম মানসিক অসামঞ্জস্য দেখেনি। অথচ তৃষ্ণার মৃত্যুর পরে পুলিশ দাবী করেছে তৃষ্ণার রুমে মানসিক রোগের চিকিৎসা নেবার প্রেস্ক্রিপশন পাওয়া গেছে। অথচ সারাদিন তৃষ্ণার পরিবার পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছে সেই প্রেসপক্রিপশন দেখার জন্য। পুলিশ কোন প্রেসক্রিপশন দেখাতে পারেনি ।
পুলিশ তৃষ্ণা আত্মহত্যা করেছে বলে যেই ছবি দেখিয়েছে এই ছবি দেখে একমাত্র পাগল ছাড়া কেউ বলবে না যে এভাবে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে। তৃষ্ণার পরিবার মুখ খুলতে পারছে না৷ কারণ তৃষ্ণার একটা সাত বছর বয়সী ছোট ভাই আছে। ওর ছোট ভাইকেও যদি মেরে ফেলা হয় তাহলে কে নিরাপত্তা দেবে? তৃষ্ণার পরিবার বোবা হতে বাধ্য হয়েছে।
আপনারাও বাধ্য হয়েছেন মুখ বন্ধ রাখতে?
তৃষ্ণার অপরাধ কি? তৃষ্ণা হিন্দু?
তৃষ্ণার অপরাধ কি? তৃষ্ণা নারী?
সদ্য চাকরিতে যোগ দেয়া ছোট্ট একটা মেয়েকে আজকে হায়েনায় খেয়ে ফেলেছে। আজকে মুখ বন্ধ রাখুন আর অপেক্ষা করুন আপনার সিরিয়াল আসার। আপনার মেয়ে আপনার মা আপনার স্ত্রীর সাথে এমনটা ঘটলে সেদিন মানবিকতা ভিক্ষা করবে না প্লিজ। কারণ যার যায় একমাত্র তারই যায়।
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
For Advertisement
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : জাগুরঝুলি বিশ্ব রোড, আদর্শ সদর, কুমিল্লা ৩৫০০.
+880 0161812800
ইমেইল : cumillavoice20@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য