মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
For Advertisement
বন্ধুগণ, মাকে নিয়ে কলম ধরলেই ঘটে সমস্যা! অভাগিনীর দুঃখের কথা কীভাবে লিখব ভেবে পাই না।
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১:১৩:০১
বন্ধুগণ, মাকে নিয়ে কলম ধরলেই ঘটে সমস্যা! অভাগিনীর দুঃখের কথা কীভাবে লিখব ভেবে পাই না।
বন্ধুগণ, মাকে নিয়ে কলম ধরলেই ঘটে সমস্যা! অভাগিনীর দুঃখের কথা কীভাবে লিখব ভেবে পাই না।
দুঃখিনীর কত দুঃখই তো দেখলাম।আমি জন্মের আগে নাকি দুঃখগুলো ছিল আরও তরতাজা।আমি তাহলে দুঃখ গুছাতে এসেছি।ব্যাপারটা তা না।আমি শুধু নিতে এসেছি।সুসময়ে আসায় নিয়েছিও বেশি।আমি জানি না।জানার কথাও না, সংসার টেকাতে কোন মা কী কষ্ট করেছেন।এই মায়ের জীবন দশা আমাকে দুঃখ ছাড়া কিছুই দিল না।
সাধুবাদে বলেছিলাম, এই সংসারের সবার শরীরের চামড়ায় জুতো বানিয়ে দিলেও মা অভাগিনীর ঋণ শোধ হবে না।ঋণ এমনিতেই অশোধনীয়, এর ওপরে বাড়ছে ওজন। হিসাব গুলো কেউ দেয়নি।আমিই খুঁজে পাইও নিই। কিছু সত্যকে এড়াতে পারলে এগুলোর জন্য দুঃখ হতো না।কেউ আবার তিরস্কার করে পণ্ডিতি একটু বেশি করি! কাজের বেলা ঠনঠন!যদিও ঠনাঠনে অনাস্থা আছে।
তবুও এর দায়ভার নিতে হচ্ছে।আমি বেশি নেওয়ার স্বীকারোক্তি দিয়েছি।পণ্ডিত হলে নিজেকে নির্দোষ দাবির স্বীকারোক্তিও দিতাম। আমাকে আর কাঁদতে হতো না, আমি অপরাধী মহাপাপী মাগো ক্ষমা, ক্ষমা করো আমায়।পরিতাপের বিষয় হলো, সংসারের মঙ্গলে মায়ের অবদান সীমাহীন হলেও মাকেই পোহাতে হচ্ছে অবহেলিত দিন। মা কষ্টের দিনগুলো নিলেন একা, সুখের দিনে সবাই নিলেন ভাগা।বাবা নামের সুধা পান করে বসে আছেন।
সংসারে ছোটবেলা থেকেই তাঁর বৈরাগী মনোভাব।স্বামী সংসারে মন না দিলে স্ত্রী হন নির্গত। মায়ের দশাও হলো তাই।বাবা কোথা থেকে আসে কোথায় চলে যায়’ নাটক শেষ হয় না! সংসার প্রিয় মায়ের দুঃখও ফুরায় না।আমি এই দুঃখিনীর দুঃখ- বর্ণনা শেষ করতে পারব না। দুঃখ গোছাতে দুঃখই হলো যার নিত্য পাওয়া।
বাবা সংসারে অমনোযোগী।দাদা, দাদি ও কাকার সংসারে এর দায়ভার সবই মায়ের!তাঁরা বৈরাগী ছেলেকে খুঁজবেন কেন?জায়গা জমিন ভাগ করে দাও, সে নিজের জ্বালা পোহাতে থাকুক।বাবাকে যদি জ্বালাই পোহাতে হবে তার নাম বৈরাগী কেন?না, না! বাবা সংসারের কোনো জ্বালা নেবেন না! মাকেই সব জ্বালা নিতে হবে।মা পেলেন ভিন্ন সংসার।বাড়ল সমস্যা ও অভাব।
আধুনিক মায়েরা এত কষ্টের সংসার মেনে নেবেন না। বাড়ুক জ্বালা!আমার মাও যদি তাই করতেন, আজকের লেখাও গড়ে উঠত না।মায়ের মুখে শুনেছি স্বাধীনতার পর দুর্ভিক্ষে চালের সঙ্গে আলু মিশিয়ে ভাত রান্না করে খেয়েছেন।কখনো আটার জাউ খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। এমনকি আটাও অনেক সময় জোগাড় করতে পারতেন না!কত বেলা উপবাসে কেটেছে কেউ তার খবর নেয়নি!এই সংসার, এই দেশ, এই অভাগিনীকে কিছুই দেয়নি! সংসার যা দিয়েছে এর চেয়েও বেশি তার কাছ থেকে নিয়েছে।
শ্বশুর থেকে ভাগে পাওয়া জমিন শত কষ্টেও বিক্রি করেননি। বাবা বিক্রি করতে চাইলেও মা দেননি।মা আজও পুরোনো দুঃখ স্মরণ করে বললেন, কত কষ্টে দিন গিয়েছিল, এক শতক জমিনও বিক্রি করিনি।মা অভাবের তাড়নায় এই জমিন বিক্রি করে খেতে পারতেন, সুযোগও ছিল। বাবাও এতে সময় দিতেন।মা তা করেননি।
আমরা ৫ভাই ১ বোন জমির পেছনের গল্পগুলো মায়ের বিষাদ রক্তে গড়া।আজ সবই নদীগর্ভে বিলীন।একেক জন একেক জায়গায় পড়ে আছি।বাবা-মা ক্ষণে আমার কাছে, ক্ষণে ছোট ভাইয়ের কাছে। আল্লাহর লীলা বুঝা বড় কঠিন।আল্লাহ মহান। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন। আমিন।
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
For Advertisement
সম্পাদক : কাজী মোঃ সাইফুল ইসলাম
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : জাগুরঝুলি বিশ্ব রোড, আদর্শ সদর, কুমিল্লা ৩৫০০.
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : জাগুরঝুলি বিশ্ব রোড, আদর্শ সদর, কুমিল্লা ৩৫০০.
+880 1710-818277
+880 0161812800
ইমেইল : cumillavoice20@gmail.com
+880 0161812800
ইমেইল : cumillavoice20@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য