For Advertisement
মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা।

মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
নিজস্ব প্রতিনিধি:
মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
মাগুরা খুলনা বিভাগ ।
#চোখ রাখুন
কুমিল্লার ভয়েস সত্যের সন্ধানে সব সময় পড়ুন দেশ ও দেশের বাহিরের সবাই ধন্যবাদ ।
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ ।
তারিখ (০৮ এই মার্চ) ২০২৫ ইংরেজি শনিবার সকালে বড় বোন ও বাবাকে দিয়ে শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় এজাহার পাঠান। সেই অনুযায়ী বিকাল ৩টার দিকে মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪) এর ক/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটি ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তার মা সেখানে আছেন। সকালে শিশুটির বড় বোন ও বাবার মাধ্যমে তার মা থানায় এজাহার পাঠান। সেই অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।
মামলার চার আসামি আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিল। তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাড়ি শ্রীপুর উপজেলায়। কয়েকদিন আগে তার বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল শুক্রবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষা করে দেখা গেছে শিশুটির গলায় একটা দাগ আছে। মনে হচ্ছে, কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়েছিল। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঁচড় আছে। তার যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
শিশুটির সবশেষ অবস্থার কথা জানিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেটর যন্ত্রের সাহায্যে তার শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে। পাশবিক নির্যাতনের কারণে শিশুটির যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। তার গলায় আঘাত গুরুতর । বুকভরা অভিমান আর কষ্ট নিয়ে মৃ*ত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে নিষ্ঠুর এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন মাগুরার ছোট বাচ্চা মেয়েটি
বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন বাচ্চা মেয়েটা। ফিরতে রাত হয়ে যাবে বিধায় বড় বোন বলেছিল এর পরদিন বাড়িতে যেতে। বড় বোন কিছুক্ষণের জন্যে বাহিরে গিয়েছিলেন।
মেয়েটা বোনের রুমে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে ছিল এককোনায়। দুলাভাইও ছিল রুমে। বড়বোন ভেবেছিল তার স্বামী যেহেতু আছে তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না। তারপর দুপুরের দিকে বড় বোন বাসায় এসে দেখে রুমে লাইট নিভানো, ঘুটঘুটে অন্ধকার। তড়িঘরি করে লাইট জ্বালিয়ে দেখে তার আদরের ছোট বোনটা এলোমেলোভাবে পড়ে আছে, চেহারাটা ফ্যাকাশে।
বড় বোন বুঝতে পারেনা কি হয়েছে তার আদরের বোনটার সাথে। অনেকক্ষণ পর যখন বুঝতে পারে তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। বড় বোন শাশুড়িকে হাতজোড় করে তার বোনটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলতেছিলো। কিন্তু শাশুড়ি নিষেধ করছিল ঘটনাটা না জানাতে জানাজানি হলে না-কি মানসম্মানে কমতি পড়বে তাদের।
তারপর বহু কষ্টে শাশুড়িকে রাজি করিয়ে বড় বোন তার ছোট বোনটাকে নিয়ে আসে মাগুড়া হাসপাতালে। কোনরকম দায়সারা ভাবে হাসপাতালে দিয়েই শাশুড়ি পালিয়ে গিয়েছে সেখান থেকে। হাসপাতালে আনার পর বাচ্চা মেয়েটার অবস্থা আরও বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে। ব্যথায় কাতরাচ্ছিল শুধু। বাচ্চা মেয়ে বয়স আর কত হবে? প্রায় আট বছর।
যৌনতার কিছুই বুঝে না, পুতুল নিয়ে খেলার বয়স তার। মেয়ের মা এবং বোনের সন্দেহ দুলাভাই সজীব এবং শ্বশুর হিটুর প্রতি। জোরালো সন্দেহ দুলাভাই সজীবের প্রতি যেহেতু তার রুমেই ছিল বাচ্চা মেয়েটা।তৌহিদী জনতা এখন এই বাচ্চা মেয়েটার কি দোষ দিবে? তার তো এখনো ওড়না পড়ার বয়সও হয়নি।
বাচ্চা মেয়েটার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। ব্যথায় একটু পর পর ককিয়ে উঠতেছে শুধু। বড় বোন একপাশে হাতে ধরে দাড়িয়ে আছে। মেয়েটার মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আশ্বাস দিচ্ছে – সব ঠিক হয়ে যাবে মা, কিন্তু কিছুই ঠিক হয়নি। মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন । বাংলাদেশের মাগুরা জেলা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি খুলনা বিভাগের একটি জেলা। সড়ক পথে ঢাকা থেকে মাগুরার দূরত্ব ১৬৮.৫ কিলোমিটার।
উইকিপিডিয়া
জনসংখ্যা: ১.০৩৩ মিলিয়ন (২০২২)
এলাকা: ১,০৪৯ km²
বিশ্ববিদ্যালয়: সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ
দেশ: বাংলাদেশ
প্রশাসনিক বিভাগের কোড: ৪০ ৫৫
পোস্ট কোড: ৭৬০০
সময় অঞ্চল: বিএসটি (ইউটিসি+৬)
For Advertisement
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য