For Advertisement
মেজর সিনহার গল্প।
১৫ জুন ২০২৪, ২:০০:৩৩
মেজর সিনহার গল্প।
মেজর সিনহার গল্প।
২০০৯ সালের জুন মাসে সিনহার সাথে আমার দেখা হয় এ এনট্রি টেস্ট দিতে এসে। তখন সে ক্যাপ্টেন। একঝাঁক সশস্ত্র বাহিনীর তরুণ অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশ এবং আনসার বাহিনী থেকে আগত অফিসার জড়ো হয়েছে পুরাতন এয়ারপোর্টের মসজিদের পাশে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে।
আমরা সবাই ফর্ম আপ করে দাড়িয়ে আছি, সবাই তখনও এসে পৌছায়নি। ট্রেনিং উইংয়ের অফিসার প্যারেড স্টেট নিচ্ছেন, এমন সময় মসজিদের বাউন্ডারি পার হয়ে লাফিয়ে নামলো একটি ছেলে, ছিপছিপে শ্যাম বর্ণের, খাড়া চুল। হাসতে হাসতে এসে জয়েন করলো আমাদের সাথে।
ক্যাপ্টেন বদরুল, আমাদের ইনসট্রাক্টর বলে উঠলো
সিনহা হাসতে হাসতে উত্তর দিলো,”স্যার, সিড়ির নিচে বিড়ি খাইতেছিলাম”।
সবাই হেসে উঠলাম। ক্যাপ্টেন বদরুল তখন বলল, ক্যাপ্টেন বদরুল এবং ক্যাপ্টেন সিনহা একসাথে বেসিক কমান্ডো কোর্স করেছে এবং তারা কাছাকাছি কোর্সের।
এরপর দৌড় শুরু হলো, শুরুর সময় ওকে দেখলাম, তারপর আর নাই, চোখের পলকে দৃষ্টিসীমার বাইরে। দৌড় শেষ করে আমরা যখন হাঁপাতে হাঁপাতে শেষ, দেখি সিনহা, রুহুল ওরা খোশগল্পে মশগুল, ৮ মিনিটে ২ কিমি দৌড়ে এসে মনে হয় কিছুই হয়নি।
এরপর শুরু হলো টেন স্টেশন (এক ধরনের পিটি), বদরুল তো সিনহাকে আটকানোর বহুৎ চেষ্টা করেও কিছু করতে পারলো না আর ও শুধু হাসছে আর বলছে বদরুল স্যার, এইগুলা দিয়ে আমারে আটকাইতে পারবেন?, কমান্ডো কোর্সে দেখেন নাই।
এরপর আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো নৌবাহিনীর সুইমিংপুলে। ওখান থেকে ১০ মিটার উঁচু থেকে পানিতে লাফ দিতে হবে। অনেকেই ভয় পাচ্ছে। কিন্তু লাফ দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। সবার আগে সিনহা গেল, লাফ দিয়ে চলেও আসলো। তখন অনেকেই সিরিয়ালে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, কিরে ভয় লাগে না? ও মজা করে বললো, “স্যার, কিসের ভয়? স্ট্রেট হাইটা যাবেন, এক হাত দিয়ে নাক ধরবেন আারেক হাত দিয়ে যন্ত্রপাতি সিকিউর কইরা, নিচের দিকে না তাকাইয়া ফাল, স্থানীয় ভাষায় লাফ কে ফাল বলা হয় দিবেন, লেখক।
For Advertisement
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
© Cumillar Voice ২০২৪ - Developed by RL IT BD
মন্তব্য