প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

For Advertisement

সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন এবং বার্ষিক।

১৮ মার্চ ২০২৪, ৮:৪৮:৪৯

সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন এবং বার্ষিক।

সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন এবং বার্ষিক।

সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার কমিশনারঃ
আজ ১৭ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ, ০৩ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ রবিবার সকাল ১১:০৫ ঘটিকায় খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন।

সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন এবং বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন এবং বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার মহোদয় উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক নয়, পৃথিবীর নির্যাতিত মানুষের আলোকবর্তিকা, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে আজকের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনচেতা, ন্যায়পরায়ণ, দুরন্ত, মুক্তমনা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। ছাত্রজীবনে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় তিনি অভিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যখন স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন তখন তিনি তাদের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে স্কুলে পানি পড়া রোধ করার জন্য স্কুলের চাল মেরামতের দাবী জানান।

বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তাঁর জীবন দর্শন ছিল মানবিকতায় পরিপূর্ণ। ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের সময় বাল্যকাল অতিক্রম করে যৌবনে পদার্পণ করা বঙ্গবন্ধু নিজেদের গোলার ধান বিলিয়ে দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

তিনি বাঙালি জাতিকে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮ এর আইযুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান এবং ৭০ এর জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ এবং জনযুদ্ধের দীক্ষা দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের।

উত্তাল দিনে রেসকোর্স ময়দান যেটি বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী জাতীয় উদ্যান সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমে তিনি বাংলার ও বাঙালির স্বাধীনতার কালজয়ী অমর কাব্য উপস্থাপন করেছিলেন। এই স্বাধীনতার অমর কাব্যের ১৮ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণে ছিল পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী কর্তৃক বাঙালি জাতিকে ২৪ বছর ধরে শোষণ, নির্যাতন এবং বঞ্চনার ইতিহাস।

রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে পরোক্ষভাবে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার লক্ষ্যে কি কি করতে হবে তার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে দিয়েছিলেন। দেশবাসীকে স্বাধীন সার্বভৌম হতে হলে কি কি করতে হবে তার সকল সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ছিল তাঁর বক্তব্যে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ০২ লক্ষ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল এই দেশের পতাকা।

কিন্তু আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শিক্ষা-স্বাস্থ্য অবকাঠামোসহ সকল পর্যায়ের পুনর্গঠন যখন শেষ পর্যায়ে তখন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে কতিপয় দেশদ্রোহী ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে রাতের অন্ধকারে পৈশাচিকভাবে হত্যা করেন। ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল কিন্তু জাতির পিতার আদর্শকে তারা হত্যা করতে পারেনি।

জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা পাঁচ বছরের সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যার নেতৃত্বে আমরা সেই আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলা বিনির্মাণে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছি। শিক্ষা স্বাস্থ্য অবকাঠামোসহ সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার মহোদয় উপস্থিত শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীসহ সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন আমরা যদি জীবনের সর্বক্ষেত্রে জাতির পিতার আদর্শ মেনে চলি তাহলে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো এবং এই দেশটি কে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি ও ইভটিজিং মুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। এই আশাবাদ ব্যক্ত করে পুলিশ কমিশনার মহোদয় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার মূল্যবান বক্তব্য শেষ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজের গর্ভানিং বোর্ড এর ভাইস প্রেসিডেন্ট খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম; সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল লুবনা ফেরদাউস-সহ স্কুলের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ।

For Advertisement

Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য