For Advertisement
৯৭৮ সালের পর থেকেই বাঙালির সাংঘাতিক ভাবে কৌতূহল ছিল সুচিত্রা সেন ওরফে রমা এখন কেমন দেখতে…! রমা যে সুন্দরী, কিশোরী বয়স থেকে নিজেও জানতেন, অন্যরা মেনে নিতে দ্বিধা করেননি৷ তাঁর ঠোঁটের কোণের বাঁকা হাসিতে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা মুগ্ধ হয়েছেন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২:৫৮:৪৫
৯৭৮ সালের পর থেকেই বাঙালির সাংঘাতিক ভাবে কৌতূহল ছিল সুচিত্রা সেন ওরফে রমা এখন কেমন দেখতে...! রমা যে সুন্দরী, কিশোরী বয়স থেকে নিজেও জানতেন, অন্যরা মেনে নিতে দ্বিধা করেননি৷ তাঁর ঠোঁটের কোণের বাঁকা হাসিতে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা মুগ্ধ হয়েছেন।
৯৭৮ সালের পর থেকেই বাঙালির সাংঘাতিক ভাবে কৌতূহল ছিল সুচিত্রা সেন ওরফে রমা এখন কেমন দেখতে…! রমা যে সুন্দরী, কিশোরী বয়স থেকে নিজেও জানতেন, অন্যরা মেনে নিতে দ্বিধা করেননি৷ তাঁর ঠোঁটের কোণের বাঁকা হাসিতে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা মুগ্ধ হয়েছেন।
বড় ঘরের বউ সিনেমায় নেমে পরিচিত হয়েছিলেন মিসেস সেন নামে
রমা যখন বাংলা সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন তখন সত্যিই বাংলা সিনেমা নতুন করে উত্তরণের পথ খুঁজছে, আক্ষরিক অর্থে সুন্দর মুখের নায়িকার বড় অভাব, নিউ থিয়েটার্সের স্বর্ণযুগ শেষ৷ উত্তম-সুচিত্রা জুটির প্রতিষ্ঠা বাঁচিয়ে দিয়েছিল ডুবন্ত বাংলা সিনেমাকে৷ রমা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে অজয় কর পরিচালিত ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অভিনয় করে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। আজ পর্যন্ত এই সম্মান কিন্তু আর কোনও ভারতীয় অভিনেত্রীর কপালে জোটেনি৷
সুচিত্রা সেন অভিনয় শিখে আসেন নি, ন্যাচারাল অভিনেত্রী ছিলেন না, এই অনুযোগ অনেক চলচ্চিত্র সমালোচকের। হয়ত সচেতন ভাবে সুচিত্রা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন উত্তমকুমার ছাড়াও সুচিত্রা সেন নায়িকা হয়ে বক্স অফিসে ঝড় তুলতে পারে। উদাহরণ হিসেবে আমাদের সামনে আছে অনবদ্য ‘সাত পাকে বাঁধা’,ও ‘উত্তর ফাল্গুনী’৷ ‘সাত পাকে বাঁধা’র শুটিংয়ে তীব্র আবেগে ফড়ফড় করে ছিঁড়ে দিয়েছিলেন সৌমিত্রের পাঞ্জাবি, আবেগময় অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই।
ওই ছবিতে অভিনয় করে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার৷ আজ পর্যন্ত এই সম্মান কিন্তু আর কোনও ভারতীয় অভিনেত্রীর কপালে জোটেনি…
‘দীপ জ্বেলে যাই’ আক্ষরিক অর্থে রোম্যান্টিক প্রেমের ছবি নয়, কিন্তু ছবির শেষ দিকে সুচিত্রা সেন পাগল হয়ে ডাক্তারদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন — “ বিশ্বাস করুন আমি অভিনয় করিনি.. আমি অভিনয় করতে পারি না..” সেই অভিনয় কখনও মনে হয়নি অতি নাটকীয়। ‘প্রণয় পাশা’ সেই ছবি যেখানে সুচিত্রা সেন শেষবারের মত অভিনয় করেছেন৷ ৩৫বছরের কেরিয়ারে মোট ছবির সংখ্যা ৬০ ।
সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ উত্তমকুমারের জন্য হয়েছে। কিন্তু সুচিত্রার জন্য ‘নায়িকা’ নামের ছবি তৈরির কথা কোনও পরিচালক ভাবেন নি। যদি ভাবতেন, অথবা যদি তিনি সত্যজিৎ রায়ের ‘দেবী চৌধুরাণী’, ‘ঘরে-বাইরে’, বা পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘চতুরঙ্গে’ অভিনয় করতেন, বলা যায় তাঁর অভিনয় দক্ষতা, ক্ষমতা নিয়ে পর্যালোচনা হত একটু আলাদা মাত্রায়,অন্যভাবে।
আজ মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মদিবসে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ…
For Advertisement
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
© Cumillar Voice ২০২৪ - Developed by RL IT BD
মন্তব্য