For Advertisement
গতবারের ঝড়ে হেলে যাওয়া বড় রেন্টি গাছটি কেটে ফেলার জন্য আজ সকালে তিনজন কাঠুরিয়া নিয়ে গেলাম ২ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে।
২ জুন ২০২৪, ৪:৫৪:০২
গতবারের ঝড়ে হেলে যাওয়া বড় রেন্টি গাছটি কেটে ফেলার জন্য আজ সকালে তিনজন কাঠুরিয়া নিয়ে গেলাম ২ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে।
গতবারের ঝড়ে হেলে যাওয়া বড় রেন্টি গাছটি কেটে ফেলার জন্য আজ সকালে তিনজন কাঠুরিয়া নিয়ে গেলাম ২ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে। গাছতলায় গিয়ে উপরের দিকে তাকাতেই দেখলাম শালিক পাখির দু’টি বাসা।
তেমন গুরুত্ব দিলাম না ভাবলাম, পাশে আরো অনেক গাছ আছে, এরা সেখানে গিয়ে বাসা বাঁধবে। ঠিক তখনই কোত্থেকে উড়ে আসল বাসার মালিক চারটি শালিক। শুরু করে দিল ব্যাপক শুরগোল। চিৎকার চেঁচামেচি। অবোধ্য ভাষা। কিছুই বুঝি না। ভাবছি আমি যদি বাদশা সোলেমান হতাম, বুঝতাম পাখিদের ভাষা। আমি তো মদন। মদনের মত তাকিয়ে রইলাম পাখির বাসার দিকে।
কাঠুরিয়া করাতে ধার দিচ্ছে, রশি বেঁধে নিচ্ছে কোমরে। ঠিক সেই মুহুর্তেই আমি সোলেমান বাদশার মত বুঝে ফেললাম শালিক পাখির ভাষা। নিজের কানে শুনলাম, নিজের চোখে দেখলাম, দু’টি বাসায় চিঁকচিঁক করছে চারটি ছানা।
সাথে সাথে মানা করে দিলাম- “গাছ কাটা যাবে না। আমার টাকাটা ফেরত দিয়ে তোমরা চলে যাও।” কাঠুরিয়া হেসে বলল, টাকা ফেরত দেয়া যাবে না। আমাদের আজকের দিনটাই মাটি করলেন আপনি।”আমি বাড়াবাড়ি করলাম না। ভাবলাম এদের দোষ কী! মানা তো আমিই করেছি। কিন্তু লক্ষ্য করলাম এদের রহস্যময় হাসি থামছেই না। জিজ্ঞেস করলাম, “তোমরা এভাবে হাসছো কেন।
আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে এগিয়ে আসল একজন। বলল, “পাখির বাসায় আন্ডা-বাচ্চা থাকলে আমরা ২ হাজার নয়, ২ লাখ দিলেও ঐ গাছ কাটি না। আপনার দোষ কী। আপনি কাটতে বললেও আমরা ঐ গাছ কাটতাম না। এই নিন আপনার টাকা।”
গ্রামের অশিক্ষিত মূর্খ কাঠুরিয়ার দল, মানবতার প্রতিযোগিতায় আমাকে হারিয়ে দিল!! জানিনা এরা কোথায় কার কাছে শিখেছে অতিমানব হওয়ায় সূত্রাবলী। হা বী ব।
For Advertisement
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
© Cumillar Voice ২০২৪ - Developed by RL IT BD
মন্তব্য