ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা আমরা পেয়েছি অনেক আগেই। ফাগুনের আগুন রঙে রঙিন হয়েছে বাংলার প্রতিটি প্রান্তর।

৬ মার্চ ২০২৪, ৯:২৪:৫১

ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা আমরা পেয়েছি অনেক আগেই। ফাগুনের আগুন রঙে রঙিন হয়েছে বাংলার প্রতিটি প্রান্তর।

গুচ্ছ গুচ্ছ পলাশ আর শিমুলের রক্ত লাল পাপড়ি আবেশ ছড়িয়েছে সকলেরই মনে। সূর্যমুখী ফুলের সপ্রতিভ চাহনি সকলকেই মুগ্ধ করেছে। নগরীর ইট-কাঠ পাথরের কঠিন চাহনি উপেক্ষা করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ লাইন্স সেজেছে তার রঙিন সাজে।

গাঁদা ফুলের হরিদাভ বর্ণ আর প্রান্তর জুড়ে ধানক্ষেত যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। পুলিশ লাইন্স পুকুরের কাক চক্ষু জলে রাজহাঁসের জলকেলি আর ডেইরি ফার্ম এর সদ্য জাত গাভী শাবকের ছোটাছুটি সকলকে চিরায়িত গ্রাম বাংলার কথা সকলকে মনে করিয়ে দেয়।

আমের মুকুলের ম ম গন্ধ আর বাহারি সবজি ক্ষেত এর সাথে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা। সুসজ্জিত পরিপাটি পরিচ্ছন্ন পুলিশ লাইন্স যেন এক স্বর্গপুরী।

পুলিশ লাইন্স মসজিদ থেকে ভেসে আসা আযানের সুললিত ধ্বনি আর পুলিশ সদস্যদের মুখরিত পথ চলা পুলিশ লাইন্সকে শান্তির নীড়ে পরিণত করেছে। বাসন্তী কোকিলের কুহু কুহু তান বেনে বউ আর বউ কথা কও এর মিষ্টি কলতান মায়াবী আভায় ভরিয়ে তোলে সকলের মন।

প্রবেশ পথের সারি সারি সূর্যমুখী যেন হলুদ বসনা ডাগর নয়না গ্রাম বাংলার চিরায়িত তরুণীর মত সকলকে পুলিশ লাইন্সে আমন্ত্রণ জানায়। ভোরের লালাভ সূর্যি মামা আর রাতের বাস ভরা রাশি রাশি তারা আর মেলা মনে এনে দেয় প্রশান্তির আবেশ।

মনোলোভা নয়নাভিরাম পুলিশ লাইন্সের প্রান্তর আর মাথার উপরের উন্মুক্ত আকাশ সকলকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। এই ঘাস পাখি এই প্রান্তর আমরা ভালোবাসি। ভালবাসি অনিবার ভালবাসি বারবার।

“বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর। তোমরা যেখানে সাধ চ’লে যাও— আমি এই বাংলার পারে র’য়ে যাব।

Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।