ভেড়ামারায় উচ্ছেদ কৃত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা ৬ মাসেও দোকানঘর বুঝে পাননি! এমপি হানিফ ও কামারুল মহোদ্বয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীগণ। 

৩১ মার্চ ২০২৪, ২:০৫:৩৯

ভেড়ামারায় উচ্ছেদ কৃত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা ৬ মাসেও দোকানঘর বুঝে পাননি! এমপি হানিফ ও কামারুল মহোদ্বয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীগণ।
ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাব প্রতিনিধি – কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ফোরলান এর নামে রেলওয়ে জায়গার উপরে বাসস্ট্যান্ড থেকে দক্ষিণ রেলগেট পর্যন্ত  উচ্ছেদ কৃত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা প্রায় ৬ মাস হয়ে গেলেও তাদের দোকান বুঝে পাননি।
এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে কুষ্টিয়ার উন্নয়ন এর রুপকার ভেড়ামারার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি আলহাজ্ব মাহবুব উল আলম হানিফ এবং কুষ্টিয়া -২(ভেড়ামারা -মিরপুর) আসনের অবিভাবক জননেতা আলহাজ্ব কামারুল আরেফিন এমপি মহোদয় এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উচ্ছেদ কৃত ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার এবং কর্মচারীদের খবর কেউ রাখেনা বলে জানিয়েছেন কয়েকটি দোকানদার এবং কর্মচারীবৃন্দ। দ্রব্যমূল্যের বাজারে তাদের ব্যবসা এবং বেতন না থাকায় অনেকেরই অবস্থা যায় যায়। একদিকে ব্যবসা/চাকরি নেই, অপরদিকে ঋণের কিস্তি, সংসারের বাজার তাদের কে একেবারে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। তাদের হাঁড়ির খবর কেউ রাখেনা বলেই তারা আজ চরম কষ্টে দিনাতিপাত করে চলেছেন। কবে পাবে তার আশাও ক্ষীণ। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক  ও কর্মচারীদের যে পরিবার আছে, পেট আছে এটা মনে হয় কর্তৃপক্ষ ভুলে বসেছে।
দেশের কোথাও রেলওয়ের জায়গা লীজ নিয়ে পৌরসভা হাই রোড করেছে বলে আমাদের জানা নেই। জনগণের টাকা দিয়ে লীজ নিয়ে রাস্তা করে পৌরসভার কি লাভ জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। নাকি মসজিদের পুকুর দখলই ছিল মূল উদ্দেশ্য? ভেড়ামারা বাসীকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে শুরু থেকে বলা হয়েছিল ফোরলান রাস্তা হবে কিন্তু অবশেষে থলের বেড়াল বের হয়ে মুখোশ উন্মোচিত হলো প্রসস্থ করন। কতিপয় ব্যক্তির ব্যক্তি স্বার্থের জন্য শতশত দোকান মালিক ও কর্মচারী আজ সর্বশান্ত।
ঈদের আগে ও তারা দোকান বুঝে পেলোনা? কেন দোকান মালিকরা দোকান বুঝে পাচ্ছে না এটা নিয়ে নানা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
অদৃশ্য কারণে কাজ ও বন্ধ। কবে কাজ সমাপ্ত হবে আল্লাহই ভালো জানেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা যে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করে চলেছি এটা কারো মাথায় নেই,,।  তাদের মাথায় রয়েছে ভাগাভাগির চিন্তা।
cদোকানের কাজ নিয়ে ও চলছে নানা তালবাহানা। নরমাল ভিতের উপরই দোতলা করার অপচেষ্টা চলছে। প্রকৃত মালিকরা এখনো তাদের দোকান ঘর পুরোপুরি বুঝে পায়নি। এমনকি কবে পাবে এটাও অনিশ্চিত। অনেকের দোকান ছোট করে অন্যজনকে দেওয়ার ও পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রব্য মূল্যের বাজারে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের খবর কেউ রাখেনা। তাদের প্রায়জনই অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও কেন তাদের দোকান কমপ্লিট করে দেয়া হচ্ছে না জনমনে এই নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। কর্মচারীরা অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করে চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কথা সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে  যথাযথ কর্তৃপক্ষসহ (যারা দায়িত্বে আছেন) মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহবুব উল আলম হানিফ ও আলহাজ্ব কামারুল আরেফিন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ভাগাভাগির চিন্তা বাদ দিয়ে অবিলম্বে দোকানের কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ  করে প্রকৃত দোকান মালিকদের পুরোপুরি বুঝিয়ে দিতে জোর দাবী জানিয়েছেন।

Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।