মুকেশ পুত্র অনন্তের ভানতারা অভয়ারণ্য নিয়ে সুখবর, বেড়িয়ে আসতে পারবেন আপনিও।
৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৫:৩৬
মুকেশ পুত্র অনন্তের ভানতারা অভয়ারণ্য নিয়ে সুখবর, বেড়িয়ে আসতে পারবেন আপনিও।
সাম্প্রতিক সময়ে গুজরাটের জামনগরে ভানতারা অভয়ারণ্যকে (Vantara Sanctuary) কেন্দ্র করে শিরোনামে উঠে এসেছে আম্বানি পরিবার। স্বপ্নের বাস্তবায়ন মুকেশ পুত্র অনন্ত আম্বানির। কোথায় গড়ে উঠেছে এই অভয়ারণ্য? কত প্রজাতির পশু-পাখি আনা হয়েছে? কি উদ্দেশ্যেই বা এই অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে? গুজরাটের জামনগরে রয়েছে এই ‘গ্রিনস জুওলজিক্যাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কিংডম’।
জামনগরে গ্রিন বেল্ট স্থানের ৩০০০ একর জায়গাকে সবুজে পরিণত করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৮০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে চিড়িয়াখানা এবং প্রাণী সংরক্ষণ স্থান।অভয়ারণ্যটি এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে প্রাণীরা উন্মুক্ত পরিবেশে ঘোরা ফেরা করতে পারবে। তবে এক জায়গায় সব পশু-পাখি নয়। পৃথক পৃথক প্রজাতির জন্য পৃথক পৃথক জায়গা তৈরি করা হয়েছে। যেমন ফ্রগ হাউস, ইন্ডিয়ান ডেজার্ট, অ্যাকোয়াটিক কিংডম, এক্সটিক আইল্যান্ড, ড্রাগন্স ল্যান্ড প্রভৃতি। অনন্ত আম্বানির কথায় প্রায় ১০০ প্রজাতির পশু-পাখি রয়েছে এই চিড়িয়াখানায়। যেমন আফ্রিকান সিংহ, কমোডো ড্রাগন, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার্স, পিগমি জলহস্তী সহ একাধিক প্রজাতির বিভিন্ন পশু-পাখি। পাশাপাশি রয়েছে বহু সরীসৃপ।
পশু-পাখিদের সংরক্ষণ করার পাশাপাশি তাদের দেখাশোনার জন্য সু-ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এখানে। অনন্ত আম্বানির উদ্যোগে তাদের দেখাশোনা, খেয়াল রাখার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে ৩০০০ কর্মী। পাশাপাশি একটি পশু সুরক্ষা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। তার নাম এলিফ্যান্ট জাকুজিও। এই পশুর সুরক্ষা কেন্দ্রে পশুদের সেবা-সুস্থতা করার জন্য প্যাথলজিস্ট, চিকিৎসক, জীববিজ্ঞানী মিলে ৫০০ জনেরও বেশি কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণ করা হয়েছে। যেমন ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকো ইত্যাদি। সাম্প্রতিক সময়ে এই ভানতারা অভয়ারণ্য একটি পার্ক হিসেবে গড়ে উঠেছে। যেখানে সাধারণ মানুষরা ঘুরতে যেতে পারবেন।
এই ভানতারা অভয়ারণ্য মুকেশ পুত্র অনন্ত আম্বানির একটি ড্রিম প্রজেক্ট। তাঁর কথায় ছোটবেলা থেকেই তাঁর পশু-পাখিদের প্রতি একটা আকর্ষণ ছিল। তাদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। আজ তা বাস্তবে রূপদান করেছে। যেসব পশু-পাখিরা বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে, বিপদগ্রস্থ অবস্থায় রয়েছে তাদের পুনর্বাসন করা, সেবা সুস্থতা করে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছে ভানতারা প্রকল্প। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে অনন্ত আম্বানি। খবর রয়েছে খুব শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য এই জুওলজিক্যাল পার্কটি ওপেন করা হবে। যেখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যেতে পারবেন সাধারণ মানুষ। Bangla Xp এবং #vantarasanctuary -র সৌজন্যে সংগৃহীত তথ্য ও ছবি।
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।