বন্ধুগণ,কৃষি জমির অকৃষি কাজে ব্যবহার ছাড়াও জমির উর্বরতা হ্রাস এখন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির বড় অন্তরায়।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১:১৫:৩৮
বন্ধুগণ,কৃষি জমির অকৃষি কাজে ব্যবহার ছাড়াও জমির উর্বরতা হ্রাস এখন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির বড় অন্তরায়।
জমিতে অসম পরিমাণে রাসায়নিক সার ও বালাই নাশক ব্যবহার, বারংবার একই ফসলের চাষ, উচ্চ নিবিড়তায় অবিরাম চাষাবাদ ইত্যাদি কারণে জমি ক্রমেই উৎপাদন শীলতা হারাচ্ছে। এ সব
ক্ষেত্রে পলিমাটি ও জৈবসার ব্যবহার এবং অন্যান্য প্রক্রিয়ায় মাটির উৎপাদন শীলতা পুনরুদ্ধার করার জন্য কাজ করে যেতে হবে।
যেখানে সেচ ও পানি নিষ্কাশন দরকার সেখানে তা নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া কৃষি কাজের আওতাভুক্ত করতে হবে পরিত্যক্ত গ্রামীণ জমিগুলো।সেই সঙ্গে বনভূমি, টিলা ও জলা ভূমিকে পুরো পুরি সংরক্ষণ করতে হবে যাতে পরিবেশ বিঘ্নিত না হয়।
আমাদের দেশের বনাঞ্চলগুলো ক্রমেই উজাড় হচ্ছে।গাছ কেটে মানুষ বিরাণ ভূমিতে পরিণত করছে সংরক্ষিত বনভূমি। সেদিকে দৃষ্টি দেয়া দরকার।বনায়নের উপযোগী ভূমিতে পরিকল্পিত ভাবে বৃক্ষায়নের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ প্রক্রিয়াকে ঠেকানো যেতে পারে।
তাছাড়া জুম চাষ ও স্থানান্তরিত চাষাবাদের মাধ্যমে পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমির যে ক্ষতিসাধন হচ্ছে, জুমিয়াদের পরিকল্পিত স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার প্রতিকার করা যেতে পারে।বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক নতুন চর জেগে উঠছে। ভূমি উদ্ধার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন জেগে উঠা চরে উপযুক্ত চাষাবাদের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
আমাদের দেশে বিভিন্ন শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতার অভাব হেতু প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তাতে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি চাষের আওতা বহির্ভূত হয়ে যায়। কিন্তু সেই অধিগৃহীত জমি সর্বোত্তম ভাবে ব্যবহার করা হয় না।
আমাদের দেশে অনেক শিল্প নগরী আছে যেখানে অধিগৃহীত জমির ব্যবহার অত্যন্ত হতাশা ব্যঞ্জক। এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, বিভিন্ন কাজে আমাদের অধিকৃত কৃষি জমির শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এটা নিতান্তই অপচয়। এই অপচয় রোধ করতে হবে। বিশেষ করে সেচ সুবিধাযুক্ত জমির অধিগ্রহণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে।
যে জমিতে দুই বা ততোধিক ফসল ফলে, এমন জমি ইটের ভাটা স্থাপন ও ব্যক্তিগত নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা যাবে না।সরকারি ও ব্যক্তি গতভাবে জমি অধিগ্রহণ করতে হলে তা ন্যূনতম পর্যায়ে সীমিত রাখতে হবে।
যেখানে সম্ভব, সরকারি খাস জমি অধি গ্রহণ করতে হবে।অপর দিকে অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত জমি কৃষি কাজে ফিরিয়ে দিতে হবে, আল্লাহ মহান। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক জ্ঞান দান করুন।আমিন।
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।