বীর কখনো মরে না, আসীম ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন, তিনি ২০১১ সালে একজন পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। 

২৬ মে ২০২৪, ১১:২৩:৫১

বীর কখনো মরে না, আসীম ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন। তিনি ২০১১ সালে একজন পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন।
ওই সময় প্রশিক্ষণে সামগ্রিকভাবে সেরা পারফরম্যান্সের জন্যে তিনি পেয়েছেন গৌরবমণ্ডিত সোর্ড অব অনার। অসীম জাওয়াদ সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৭ সালে এস.এস.সি ও ২০০৯ সালে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ- ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি বাফাতে ট্রেনিং শেষে কমিশন লাভ করেন।
অসীম PT-6, L-39ZA, F-7MB, F-BG1 ইত্যাদি বিমান চালিয়েছেন। তিনি ছিলেন F-7MG1 এর অপারেশনাল পাইলট ও এলিমেন্ট লিডার। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘের মিশনে নিয়োজিত ছিলেন। অসীম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ 130 প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আকাশ থেকে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে ছিটকে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এর আগে বিমান থেকে দুই পাইলট প্যারাসুটযোগে নেমে যায়। পরবর্তীতে নদী থেকে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় অসীম জাওয়াদের।

Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।