পূর্ব ভারতে ঢোকার অন্যতম প্রধান স্টেশন ফারাক্কা, আজ জানলাম ফারাক্কা জংশন স্টেশনে কোন প্লাটফর্মেই টয়লেট নেই।

২ জুন ২০২৪, ৪:১২:১১

পূর্ব ভারতে ঢোকার অন্যতম প্রধান স্টেশন ফারাক্কা। আশ্চর্য হলাম, যখন আজ জানলাম ফারাক্কা জংশন স্টেশনে কোন প্লাটফর্মেই টয়লেট নেই।
একজন যাত্রী অতটা রাস্তা সফর করে আসার পর কিম্বা একজন যাত্রী ট্রেন ধরতে এসে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার তাঁর পায়খানা পেলে তিনি এখানে বাথরুম খুঁজে পাবেন না। আপনাকে অনেককে জিজ্ঞেস করে করে প্রায় পুরো প্লাটফর্ম, ঐ অবস্থায় চক্কর মেরে, শেষ পর্যন্ত পাহাড়ী রাস্তার মতো এঁকে বেঁকে এসে, নিচের দিকে একটা শৌচালয় খুঁজে নিতে হবে। ভাগ্য খুব বিরূপ না থাকলে কয়েকজনের পর লাইন পেয়েও যেতে পারেন!
ছবিতে যে শৌচালয়ের দেখতে পাচ্ছেন সেটি কোন কাজের নয়। ভিতরে ঢুকে দেখলাম একটার কমোড কেউ তুলে নিয়েই চলে গেছে। অন্য একটি কমোড কাগজ, নোংরাতে ভর্তি। কোন ট্যাপই কাজ করে না। কারণ জল নেই। অথচ বাইরে বড় বড় করে লেখা শৌচালয়।
রেল জানবে না এই সমস্যার কথা? বিশেষভাবে অক্ষম বা বয়স্ক মানুষগুলো কোথায় যাবেন প্রাত:কৃত্য সারতে সেটা রেলের দায় নয়? রেল কর্তৃপক্ষের কেউ জানেন না বিষয়টি? ডেইলি প্যাসেঞ্জার কমিটি জানে না?
আজ প্রায় আধ ঘণ্টা ঘুরে ঘুরে শেষমেশ আমার যে অবস্থা হয়েছিল সেখানে প্যান্টেই কিছু হয়ে যাওয়াটা আশ্চর্যের ছিল না। হাসির নয় ব্যপারটা দুঃখজনক। এবং সারা জীবন আমাকে এই দুঃখ নিয়ে থেকে যেতে হতো, যার জন্য আমি দায়ী নই।
রেল কর্তৃপক্ষকে বলবো আপনারাই সর্বোত্তম বলে, নিজেদের ঢক্কা নিনাদ পেটান অসুবিধে নেই কিন্তু যাত্রীদের নূন্যতম পরিষেবাও প্রদান করুন।  এটাই তো আপনাদের দায়িত্ব। তাই না?
1909 সালের এরকমই এক তপ্ত দিনে, বিক্ষুব্ধ  বাঙ্গালী যাত্রী অখিল চন্দ্র সেন, প্লাটফর্মে হাগু করতে না পেরে, ট্রেন মিস করে পশ্চিমবঙ্গের সাহেবগঞ্জ বিভাগীয় অফিসে একটি চিঠি লেখেন মামলা করার হুমকি দিয়ে। তারপরেই ট্রেনে প্রথম টয়লেট চালু হয়। কিন্তু সেই ঘটনার ১১৫ বছর পরে টয়লেটের জন্যই এই চিঠি লিখতে যাওয়াটা খুবই দুঃখের। লজ্জার। রেলের ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য যত ইচ্ছে শেয়ার করুন।

Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।