প্রকৃত নাম সৈয়দ আকবর হোসেন, জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। 

২ জুলাই ২০২৪, ৮:৩৩:০৪

শওকত আকবর ১০.০৮.১৯৩৭-২৩.০৬.২০০০ নায়ক,অভিনেতা ও পরিচালক। প্রকৃত নাম সৈয়দ আকবর হোসেন, জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়।
একটি শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন শওকত আকবর। পিতা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়াব ছিলেন হুগলি কলেজের লেকচারার।তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে শওকত আকবর ছিলেন চতুর্থ। পড়ালেখার শুরু হুগলিতে।দেশবিভাগের পর ১৯৫০ খ্রি.ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু।
১৯৫২ খ্রি.ঢাকার গভঃ মুসলিম হাইস্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে মেট্রিক পাশ করেন।ওই বছর ভাষা আন্দোলনেও তিনি অংশগ্রহন করেন।ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে ১৯৫৪ খ্রি.কৃতিত্বের সাথে আই এস সি পাশ করেন।এরপর ঢাকার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। মেডিকেলে পড়াকালীন কলেজের বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেন। একসময় আরেক নাট্যসহকর্মী মুক্তার সাথে পরিচয়,প্রেম সবশেষে বিয়ে করেন।তবে মেডিকেলে আর পড়া হয়নি। ১৯৬২ খ্রি.পর্যন্ত একটি ব্যাংকে চাকরি এবং মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন।
কবি ও নাট্যকার সাঈদ সিদ্দীকীর উদ্দ্যোগে এইতো জীবন নামে(১৯৬৪)নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেন সরাসরি নায়কের চরিত্রে। এরপর তালাশ ছবিতে অভিনয়।
এইতো জীবন ছবিতে শওকত নামে এবং তালাশ ছবিতে আকবর নামে অভিনয় করেন।তারপর চিত্রালীর এটিএম আবদুল হাই দুটি নাম একত্রিত করে তাঁর নাম দিলেন শওকত আকবর।তারপর একে একে সুতরাং,মেঘ ভাঙা রোদ,প্যায়সে,মিলন,জানাজানি,ভাইয়া,আপন দুলাল,আগুন নিয়ে খেলা, গোরী, অপরিচিতা, মায়ার সংসার, আলোর পিপাসা, বড় বউ জীবন থেকে নেয়া ছন্দ হারিয়ে গেল স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা শনিবারের চিঠি আলো ছায়া মায়ার বাঁধন  কুয়াশা,সোহাগ,আরাধনা,স্মৃতি তুমি বেদনা,ছুটির ঘন্টা,খোকন সোনা,লাইলি মজনু,হাবা হাসমত,হারজিৎ, রাজা সাহেব,টক্কর,জংলী রানী, রাজকুমারী,চাঁদ সওদাগর,রঙিন রাখাল বন্ধু,রূপসী নাগিন,রানী চৌধুরানী,২০ বছর পর,সি আই ডলার, পরীস্থানসহ সাড়ে তিনশোর অধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।
প্রথমে কয়েকটি ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন।তারপর নায়কের ভাই,বন্ধু,ধনী পরিবারের দাম্ভিক পিতা,রাজকীয় বা ফ্যান্টাসি ছবিতে রাজা ইত্যাদি ছবিতেই তাঁকে বেশি অভিনয় করতে দেখা যেত।মূলত তাঁর অভিনয়ের স্টাইলটা ছিল অনেকটা যাত্রা ঢঙের।অভিনয় করতে করতেই একসময় আলোর পিপাসা(১৯৬৯) নামে একটি ছবিও পরিচালনা করেন।
তারপর বিমানবালা নামেও আরেকটি ছবি নির্মাণ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। সারাজীবনের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বেশ কিছু পুরস্কার। তালাশ ছবির জন্য পাকিস্তান থেকে পাঁচটি আ্যাওয়ার্ড,ভাইয়া ছবিতে অভিনয়ের জন্য পাকিস্তানের নিগার পুরস্কার। শেষের দিকে বড় ছেলে মিল্টনের কাছে লন্ডনে চলে যান।সেখানেই ২০০০ খ্রি.আজকের দিনে শওকত আকবর পরলোকগমন করেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।

Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।