এরা আমাদের দেশের পুলিশ, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ান।
৯ আগস্ট ২০২৪, ৬:২৫:১২
এরা আমাদের দেশের পুলিশ, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ান। আমিও জানতাম না যে এমন পোশাকধারী আমাদের দেশে পুলিশ বা কোনো বাহিনী আছে। আমাদের না জানার কারণে আমরা এদেরকে অন্য দেশের পুলিশ বা রয় এর বিশেষ বাহিনী বলে ভুল বা অপপ্রচার করছি। এই অপপ্রচারের ফলে শঙ্কিত ও আতঙ্কে আছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।
বাংলাদেশ পুলিশের পোশাকে এমন ভিন্নতার কারণ হলো এরা সাধারণত এয়ারপোর্ট, পাহাড়ি অঞ্চল, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনে বিশেষ কোনো দায়িত্ব পালন করে থাকে। তাই সাধারণ মানুষ এদেরকে তেমন চিনে না। এদেরকে চিনে বা জানে সাধারণত প্রবাসী, বিদেশগামী, এয়ারপোর্টে চাকরি করে এমন যেকেউ ও পাহাড়ীরা। যারা জানেন না বা বিশ্বাস করছেন না তারা দয়া করে প্রবাসী, বিদেশগামী, এয়ারপোর্টে চাকরি করে এমন কাউকে, পুলিশে কেউ চাকরি এমন কাউকে অথবা পাহাড়ি কাউকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারবেন।
আমিও জানতাম না এবং প্রথমে বিশ্বাস করিনি।গতকাল আমাদের কয়েকজন ছাত্র পুলিশে কর্মরত আছে, তাদের পোস্ট দেখে এবং তাদের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানতে পারলাম। এরা আমাদের দেশের পুলিশ। শতভাগ নিশ্চিত এমন পোশাকধারী অন্যকোনো দেশের নয়। এমনকি সাংবাদিকরাও এদের বিষয়ে তেমন জানে না। এখানে আমাদের তিনজন ছাত্রের ছবিও দিলাম।
তাদের সাথে কথা বলে এও জানলাম যে, তাহলে এই পোশাকধারীরা বিমানবন্দরে ছোটাছুটি করছে কেনো বা পালাচ্ছে কেনো বা বিমানবন্দরের দিকে দৌড়াচ্ছে কেনো? তারা বললো, তারা জানে তারা বিমানবন্দরে সবচেয়ে নিরাপদ। বিমানবন্দরের কর্মরত লোকজনই তাদের চিনে বা জানে। হঠাৎ দেখা বিদেশগামী বা অন্যান্য লোকজন তাদের না চিনে বলছে এরা ইন্ডিয়ান পুলিশ বা রয়ের এজেন্ট।
এবার আসেন আপনারা বলবেন তাহলে এরা আন্দোলনকারী বা ছাত্রদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করলো কেনো? খুব সহজ উত্তর; বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশ সরকারে প্রধান বাহিনী। যে সরকারিই আসুক না কেনো তাদের ইচ্ছে মতো ব্যবহার করে পরে তাদের একটা অনিশ্চিত পথে ঠেলে দেয়। তাই সবার কাছে বিনীত অনুরোধ বাংলাদেশ পুলিশের কোনো সদস্যের সাথে কোনভাবেই অন্যায় কিছু করবেন না। তারা আমাদরেই সন্তান,ভাই,বন্ধু বা আত্মীয়। আপনি নিজ থেকে কিছু করতে যাবেন কেনো? পুলিশ কেনো, যে মানুষ দুনিয়াতে অন্যায়ভাবে কিছু করবে তার শাস্তি উপরওয়ালার থেকে বা প্রাকৃতিকভাবেই হবে। সুতারং আমার দেশের পুলিশ বা ডিফেন্সের কোনো বাহিনীর প্রতি আপনারা ব্যক্তিগত আক্রোশ রাখবেন না, তাদের ক্ষমা করে দিন।
আর তাই গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ তাদের নির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি পূরণের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছে। তাদের এই দাবি যৌক্তিক। আমি তাদের দাবির সাথে সহমত পোষণ করছি। তাদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক, তাদেরকে সরকারি বিশেষ বাহিনী হিসেবে ব্যবহার না করা হোক। নিচে তাদের দাবিগুলোই দিলাম। আমার কোন কাছের আত্মীয় পুলিশে চাকরি করে না কিন্তু আমাদের সন্তানতুল্য অনেক ছাত্র এখানে চাকরি করে। তাছাড়া এরা আমাদেরই লোক, আমাদেরই সন্তান, আমাদের দেশের সম্পদ। তারাও সেনাবাহিনী বা অন্য বাহিনীর মতো শতভাগ হৃদয়বান বা মানবিক হতে পারতো কিন্তু সরকারের কারণে পারে না। তাই তাদের দাবির পক্ষে থাকেন, তাদেরকও দেশ ও মানুষের সেবা করার অবাধ সুযোগ করে দিবেন আপনিও সত্য জানেন, সত্য বলেন, সত্য লিখেন আর জনস্বার্থে শেয়ার করুন।
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।