বিদ্যুৎ দুর্নীতির প্রিপেইড মিটার আমাদের বাংলাদেশের জনগণকে মেরে ফেলার জন্য ফাদ পেতেছে বাংলাদেশের জনগণ আর চাইনা এক দফা এক দাবি আগের মিটার ফিরিয়ে দিবী।
বিদ্যুৎ দুর্নীতির প্রিপেইড মিটার আমাদের বাংলাদেশের জনগণকে মেরে ফেলার জন্য ফাদ পেতেছে বাংলাদেশের জনগণ আর চাইনা এক দফা এক দাবি আগের মিটার ফিরিয়ে দিবী।
আপনার বিদ্যুৎ বিল যে ভাবে বেশী করা হয়-
বিদ্যুৎ দুর্নীতি প্রিপেইড মিটার বাংলাদেশের জনগণকে মেরে ফেলার ফাঁদ পেতেছে আমরা জনগণ বাঁচতে চাই এক দফা এক দাবি আগের মিটার ফিরিয়ে দিবি ঢাকায় বাসায় ২০১৯-২০২০ সালে বিদ্যুৎ বিল আসতো প্রতিমাসে ২০০০-৩০০০ টাকার মধ্যে। আমি হিসাব-নিকাশ করে দেখলাম লোডের সাথে মোটামুটি সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০২১ কাল থেকে একই লোড এবং একই ব্যবহারের সময় থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ বিল এর পরিমাণ ৫০০০-৭০০০ টাকা আসতে শুরু করে। এবং আরো মজার বিষয় ২০২২ সালে শুরু থেকে বিলের পরিমাণ ১০,০০০-১২০০০ টাকা আসে। এবং আরো অদ্ভুত বিষয় গত মে, জুন, জুলাই মাসে ১৫,০০০-১৬,০০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছে।
আমি বাধ্য হয়েছি দিতে। আমি খুব মিতব্যয়ী একজন মানুষ, অপ্রয়োজনে একটি ফ্যান বা লাইট চালাই না, তাহলে এমন বিদ্যুৎ বিল কেন আসবে ? জবাব খোঁজার জন্য আমি কিছু এক্সপেরিমেন্ট করলাম। তাতে যা যা আউট-কাম পেলাম তাতে আমি খুবই বিস্মিত হলাম। আমাদের অফিসে ইলেকট্রিক্যাল লোড এর টেস্টিং এর কাজে খুব নিখুঁত দামি কিছু কিলোওয়াট আওয়ার (ইউনিট) মাপার কিছু মেশিন আছে । আমি আমার পরিচিত রেনডম ১০-১৫ বাসায় বিদ্যুৎ বিভাগের মিটারের পরে আমরা টেস্টিং এর কিছু মিঠার লাগিয়ে রাখলাম। দেখলাম নরমাল যতটুকু লোড বা ইউনিট আসার কথা তার থেকে প্রায় ২০-৪০% ইউনিট বিদ্যুৎ বিভাগের মিটার গুলিতে বেশি দেখায়। তার মানে হল এই মিটার গুলি যে সমস্ত কোম্পানি থেকে আনানো হয়েছে তাদের সাথে চুক্তির সময় হয়তোবা মিটার গুলিতে এভাবে প্রোগ্রামিং করার অবৈধ চুক্তি ভেতরে ভেতরে করা ছিল। গত ছয় সাত বছরে যত মিটার বসানো হয়েছে আমার কথার সত্যতা তখনই পাওয়া যাবে যদি প্রত্যেক লটের একটি করে মিটার বুয়েটে টেস্টিং এর জন্য পাঠানো হয়।
আমি বিদ্যুৎ বিভাগের এই চুরির কিভাবে হচ্ছে তার কিছু আইডিয়া দেখাচ্ছি
১. এখানকার অসৎ কিছু ঊর্ধ্বতন লোকজন (মন্ত্রী থেকে শুরু করে মিটার রিডার প্রায় সবাই) সরকার থেকে ১০ ইউনিট বিদ্যুৎ কিনলে সেটা গ্রাহকের কাছে তারা মিটারের কারিশমার মাধ্যমে ১৫-২০ ইউনিট বিক্রি করছে। এই যে অতিরিক্ত ৫-১০ ইউনিট বিক্রির টাকা তা চোরেরা নিজেরা ভাগ-বাটোয়ার করে খাচ্ছে। এটা যেহেতু ডিজিটাল চুরি গ্রাহক ধরতে পারছে না।
২. প্রতিটি মিটার এটি প্রিপেইড বা পোস্টপেইড যাই হোক এর মধ্যে একটি RTC (Real Time Clock) লাগানো থাকে। এর কাজ মিটারকে একটা ক্যালেন্ডার বা সময় প্রদান করা। এই ক্যালেন্ডার উপর ভিত্তি করে মিটার যাবতীয় হিসাব-নিকাশ গুলো করে। অধিকাংশ মিটারে ডেট বা টাইম উল্টাপাল্টা থাকে, এই কারণে রেনডম ভাবে মিটার কিছু অটোবিল জেনারেট করতে থাকে। মানুষের সঠিক হিসাব-নিকাশ করতে পারে না। এটা ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত ভুল যার ফলে গ্রাহককে বেশি টাকা দিতে হয়।
৩. প্রিপেইড মিটার গুলিতে এমন অদ্ভুত ভুল অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে মাঝে মাঝে বড় বড় স্লাব এর টাকা এমনি এমনি কেটে নেয়।
আমি গত দুই বছর পর্যবেক্ষণ করেছি স্পেশালি ঈদ বা বড় কোন অকেশনের আগে মিটার গুলি খুব অস্বাভাবিক আচরণ করে, এবং বেশি করে টাকা কাটে। খুব অদ্ভুত কারণে টাকা চুরি করার জন্য মিটারগুলি প্রোগ্রামিং এপ্রোপ্রিয়েট নেই। আমার অফিসে প্রিপেইড মিটার লাগানো আছে আর এটা আমি প্রতি মাসে মাসেই ফেস করি।
৪. পোস্টপেইড মিটার গ্রাহকের মিটার দেখতে যে মিটার রিডার আসে ইউনিট লেখার সময় উল্টাপাল্টা ভাবে লিখে নিয়ে যায়, এটা অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসার কারণ।
আমি আশা করব আমার মতো আরও লক্ষ কোটি মানুষ যারা এইভাবে আর কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রত্যেকে আওয়াজ তুলবেন। দেশের বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি হাত থেকে গ্রাহকের কাছ থেকে হাজার লক্ষ্য কোটি টাকা এভাবে চুরি করা হচ্ছে। এগুলো সব ঠিক করার সময় বর্তমানে। একজন আমাকে বসে বসে লুট করবে আর আমি হাততালি দিব এমন অপদার্থ আমি নই।
আওয়াজ তুলুন এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আমাদের কস্টের টাকা আমরা এভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না। সৎ ভাবে টাকা আয় করি আমরা, কষ্ট করতে হয় অনেক। বাংলাদেশের জনগণের এক দফা এক দাবি আগের মিটার ফিরিয়ে দিবি।
Cumillar Voice’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।